স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ জুন: প্রথমবার বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পেল ওড়িশা। উৎকলভূমের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন বিজেপি নেতা মোহনচরণ মাঝি । বুধবার সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ করলেন তিনি। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন ওড়িশার রাজ্যপাল রঘুবর দাস। তাঁর সঙ্গে শপথ নিয়েছেন দুই উপমুখ্যমন্ত্রী কে ভি সিংদেও এবং প্রভাতী পরিদা।
বুধবার ভুবনেশ্বরের জনতা ময়দানে ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিল গোটা বিজেপির হাইকম্যান্ড। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) থেকে শুরু করে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, নীতীন গড়করি, জেপি নাড্ডা-সহ তাবড় বিজেপি নেতারা। এমনকী বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও হাজির করা হয়েছিল। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সদ্য ওড়িশায় গদিচ্যুত বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়েকও ওই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। এদিন সকালেই নবীনের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে আমন্ত্রণ জানান মোহন মাঝি। অশক্ত শরীর নিয়েও নবীন হাজির হন শপথ অনুষ্ঠানে।
মোহনের ডেপুটি হিসাবে দায়িত্ব সামলাবেন কনক বর্ধন সিং দেও এবং প্রভাতী পারিদা। মূলত জাতিগত সমীকরণ বজায় রাখতেই এই দুই ডেপুটি বাছা হয়েছে। এঁদের সঙ্গে একাধিক মন্ত্রীও এদিন শপথ নিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০০০ এবং ২০০৪ সালে বিজেডির সঙ্গে জোট শরিক হিসাবে ওড়িশার সরকারে ছিল বিজেপি । তবে এই প্রথমবার এককভাবে তারা সরকার গড়েছে। ওড়িশার মাটিতে বিজেপিকে আগামী দিনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে রাজ্য এবং কেন্দ্র যৌথভাবে কাজ করবে, এই বার্তাই এদিন দিতে চাইল বিজেপি নেতৃত্ব।
ভোটে ব্যাপক সাফল্যের পর থেকে অবশ্য পদ্ম শিবিরের অন্দরেই একাধিক নাম ভাসছিল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আদিবাসী মুখ জুয়াল ওরাম, বিজেপির মুখপাত্র তথা সদ্য নির্বাচিত সাংসদ সম্বিত পাত্র, দলের জাতীয় সহ-সভাপতি বৈজয়ন্ত জয় পাণ্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, প্রাক্তন আমলা গিরিশ মুর্মু- দৌড়ে ছিলেন অনেকেই। তবে হেভিওয়েটদের পিছনে ফেলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হলেন মোহনচরণ। ৫৩ বছর বয়সি মোহন আদিবাসী মুখ হিসাবে ওড়িশার রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট পরিচিত। কেওনঝড় কেন্দ্র থেকে চারবার বিধায়ক হয়েছেন তিনি। জনসেবা থেকে শুরু করে সাংগঠনিক দক্ষতা- সমস্ত ক্ষেত্রেই বিজেপির স্তম্ভ হিসাবে ধরা যেতে পারে মোহনকে। তাই প্রথমবার সরকার গড়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আদিবাসী মুখ মোহনকেই বেছে নিল বিজেপি।