স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ জুন : প্রয়াত প্রধান মন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কৈলাসহর থানা ঘেরাও করল কংগ্রেস। আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বিধায়ক বিরজিত সিনহা, জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামান, প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা রুনু মিঞা সহ অন্যান্যরা।
বিধায়ক বিরজিত সিনহার নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা শহরের জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন রাজপথ পরিক্রমা করে কৈলাসহরের থানার গেইটের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। পরে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোঃ বদরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৫ জনের এক প্রতিনিধি দল ওসির সাথে দেখা করে আলোচনায় করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে কৈলাসহর থানার সম্মুখে বিধায়ক বিরজিত সিনহা সংবাদদের মুখোমুখি হয়ে জানান, চার জুন লোকসভা ভোটের গননার পর গভীর রাতে শ্রীরামপুর এলাকায় সি.পি.আই.এম চন্ডীপুর অঞ্চল কমিটির অফিস ভাঙচুর করে।
৫ জুন গভীর রাতে কৈলাসহরের কাজিরগাও এলাকার অবস্থিত প্রয়াত কবি হিমাদ্রী নন্দন দেবের আবক্ষ মূর্তি ভাঙচুরের পর আট জুন গভীর রাতে কৈলাসহরের গোবিন্দপুর এলাকায় প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আবক্ষ মূর্তি ভাঙচুর করেছে। এই প্রতিটি ঘটনার সাথে শাসক দলের চিনেপুটি নেতারা জড়িত রয়েছে। এই চিনেপুটিদের সাথে স্থানীয় শাসক দলের নেতারাও জড়িত রয়েছে। খুব শীঘ্রই পুলিশ যদি প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার না করে তাহলে কৈলাসহরে শান্তির পরিবেশ নষ্ট হবে এবং এর জন্য পুলিশ দায়ী থাকবে বলেও বিধায়ক জানান। এছাড়াও বিরজিত জানান যে, ২০১৮ সালে রাজ্যে যেদিন বিজেপি দলের সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো, সেদিন কৈলাসহরের শ্রীরামপুর এলাকার প্রয়াত উপ মূখ্যমন্ত্রী প্রয়াত বৈদ্যনাথ মজুমদারের মূর্তি ভাঙচুর করেছিল। সবগুলো ঘটনাই রাতের অন্ধকারে হয়েছিলো। কাপুরুষেরাই রাতের অন্ধকারে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা করে বলে জানান তিনি। পুলিশের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে পরবর্তী সময় বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা।