স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মার্চ : বিভিন্ন ফুল এবং ফল থেকে তৈরি করা হয়েছে জৈব পদ্ধতিতে ক্যামিকেল মুক্ত আবির। লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বসহায়ক দলের মহিলারা উৎপাদন করে এই জৈব আবির। রবিবার সরকারী বাসভবনে তারই উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। স্ব-সহায়ক দলের মহিলা সদস্যাদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১৮ মার্চ দোল পূর্ণিমা। আর ১৯ মার্চ হোলি।
দেশব্যাপী মানুষ এই হোলিতে মেতে উঠেন। এই হোলি আনন্দ, স্ব নির্ভরতা ও আত্মিকতার উৎসব। স্ব-সহায়ক দলের ৩০ জন সদস্যা মিলে জৈব আবির তৈরি করেছেন। কাঁচা হলুদ, নীল কণ্ঠ ফুল, গাজর , বীট, সিম, গাঁদা ফুল ও শাক সব্জি দিয়ে এই আবির তৈরি করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ক্যামিকেল মুক্ত। দামও অত্যধিক নয়। তাই রাজ্যের মানুষ ক্যামিকেল মিশ্রিত আবির ব্যবহার না করে দেসীয় কায়দায় তৈরি আবির ব্যবহার করবে। এই আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে এই শিল্পের বিকাশ ঘটুক তার আশা ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে বলেন জৈব পদ্ধতিতে তৈরি আবির স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আনন্দের সঙ্গে হোলী খেলায় জৈব আবিরের ব্যবহার বাড়ানোর জন্য বলেন তিনি। অন্যান্য স্ব সহায়ক দল গুলিকেও এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে বার্তা দেন। আগামী দিনে এর বড় শিল্প গড়ে উঠবে। স্ব-নির্ভর ত্রিপুরার ছোট অংশ এটা। রাজ্য সরকার মহিলাদের জন্য ৪০০ কোটির প্রকল্প ঘোষণা করেছে। আগামী দিনে মহিলাদের সমহারে রোজগারের ব্যবস্থার বড় দিক মহিলারা প্রস্তুত করেছে। গ্রামের মধ্যে থেকেও এই সুন্দর প্রচেষ্টার জন্য তাদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। স্ব-সহায়ক দলের মহিলাদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সাধারন সম্পাদিকা পাপিয়া দত্ত। স্ব সহায়ক দলের মহিলারা জানান চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে এই জৈব পদ্ধতিতে আবির তৈরি উপর ৯ দিনের প্রশিক্ষণ নেন তারা। আর এই প্রশিক্ষণ শেষে কিছু করার তাগিদে এই জৈব আবির তৈরি করেছেন তারা। তাদের জৈব আবিরের নাম দিয়েছেন লক্ষী ভেষজ আবির।