Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যবনমালীপুর এলাকায় জল জমাট বাধার জন্য দায়ী কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ, বুধবার থেকে...

বনমালীপুর এলাকায় জল জমাট বাধার জন্য দায়ী কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ, বুধবার থেকে শুরু হবে অভিযান : মেয়র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ মে : সোমবার গভীর রাতে ল্যান্ডফল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমালের। তবে এর প্রভাব এখনো কাটেনি। এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রাজ্য অতিক্রম করে নিলেও আকাশের মুখ ভার। দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে রাজ্যে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল ক্ষয়ক্ষতি করেছে আগরতলা পুর নিগম এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে। প্রবল বর্ষণে বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর, জমি ও রাস্তাঘাট জলের নিচে তলিয়ে গেছে।

অসহায় মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে ত্রান শিবিরে। মঙ্গলবার সকাল বেলা আগরতলা পুর নিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও জন নিষ্কাশনের পাম্প মেশিন পরিদর্শন করেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদব সহ কাউন্সিলররা। পাশাপাশি শহরের বনমালীপুর স্থিত জল নিষ্কাশনের পাম্প ও রাস্তাটি পরিদর্শন করেন তাঁরা। কথা বলেন এলাকার মানুষের সাথে। মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে অবগত হন। এবং কি কারনে জল ড্রেইন দিয়ে সঠিকভাবে পারাপার হতে পারে না সে বিষয়ে জানতে পেরে নিগমের আধিকারিকদের অবগত করেছেন।

 তারপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, আগরতলা শহরে যাতে জল জমাট বাঁধতে না পারে তার জন্য পাঁচটি জল নিষ্কাশনের পাম্প হয়েছে। বৃষ্টির সময় বজ্রপাত না হলে এ পাম্পগুলি জল নিষ্কাশনের জন্য কাজ করে। কিন্তু বজ্রপাত হলে পাম্প গুলি বন্ধ রাখা হয়। তবে বনমালীপুর এলাকায় সোমবার রাতে জল জমার পেছনে মূলত দায়ী সরকার নয়, মেয়র এর দায় চাপালেন এলাকার কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের উপর। এলাকার কিছু মানুষ ড্রেনের উপর ইচ্ছাকৃতভাবে আবর্জনা ফেলে রাখার কারণে জল নিষ্কাশন হতে পারে না। এছাড়াও বনমালীপুর এলাকার বহু ব্যক্তি সরকারি ড্রেইন দখল করে বাড়ির সিঁড়ি ও স্লেভ নির্মাণ করে রেখেছে। যার কারণে এভাবে জল জমাট বাঁধছে। তাই আগরতলা পুর নিগমের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সরকারি ড্রেইন দখল করে যারা এভাবে বেআইনি ভাবে বাড়িঘরের সিঁড়ি, স্লেভ নির্মাণ করে রেখেছে সেগুলি ভেঙে যাওয়ার জন্য। এদিকে নিগমের কমিশনার জানান, দেখা গেছে মাত্র দুই তিনজন ব্যক্তির জন্য বিভিন্ন এলাকায় জল জমাট বাধছে। নির্মাণ সামগ্রী ড্রেইনের মধ্যে ফেলে রাখা হচ্ছে। অথবা ড্রেইনের মধ্যে নির্মাণ করা সামগ্রী রাখা হচ্ছে। তাই এর বিরুদ্ধে সাত দিন অভিযান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে শুরু হবে এই অভিযান বলে জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য