স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ মার্চ : উত্তর প্রদেশ, উত্তরখন্ড, গোয়া এবং মনিপুরে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়ের পর ২৩ -এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য বাড়তি অক্সিজেন দিল ত্রিপুরাকে। চার রাজ্যের মানুষকে শুভেচ্ছা জানালেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি জানান, যতগুলি নির্বাচন হয় সবগুলো নির্বাচনের আগেই ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের কাছে রিপোর্ট কার্ড নিয়ে যায়। তাই জনতা ভারতীয় জনতা পার্টিকে ভরসা করে ভোট দেয়। উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, মনিপুর, উত্তরখান্ডে ভারতীয় জনতা পার্টি ২০১৭ সালে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার থেকে বেশি কাজ করে দেখিয়েছে।
তাই মানুষ ভারতীয় জনতা পার্টি কে আবারো সুযোগ দিয়েছে সেই সব রাজ্য। কারণ এটা সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সাবকা প্রয়াসের সরকার। উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ, গোটা দেশে মধ্যে উত্তর প্রদেশ যেদিকে মোড় সে দিকেই দেশ মোড় নেয়। সুতরাং মোদি মন্ত্র নিয়ে মানুষের পাশে থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি কাজ করার চেষ্টা করে। তাই পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি বলে অভিমত ব্যক্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির সেসব রাজ্যগুলিতে আগামী দিনে আরও নতুন উদ্যোমে কাজ করবে। কারণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করা। ২০২৩ -এ নির্বাচনে ত্রিপুরা রাজ্যেও ৫০ -এর অধিকার নিয়ে এককভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার বলে জানান তিনি।
পাশাপাশি এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ত্রিপুরা ফরেন্সিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৬ টি জাতীয় সড়ক, সাব্রুম পর্যন্ত রেলপথ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। সুতরাং আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার এককভাবে ৫০ -এর অধিকার শুনে জয়ী হতে পারবে বলে আশা ব্যক্ত করেন প্রতিমা ভৌমিক। আরো বলেন, মণিপুরে সহকারী প্রভারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সাংগঠনিক ১২ টি জেলার মধ্যে ২৯ টি বিধানসভার দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কঠিন দুটি আসনে জয় এসেছে। দলের হয়ে কাজ করা নতুন অভিজ্ঞতা বলে জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। কংগ্রেস দলকে দেশ থেকে মুছে দেওয়া গেছে। কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়া সম্ভব হয়েছে । কেন না কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে পরিবার ও ব্যক্তির উন্নয়ন হয় বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এই জয় সকলের বলে জানান তিনি। সহসাই চারটি উপ নির্বাচন হবে। তাই নির্বাচনী মুডে রয়েছে দল। এই মুহূর্তে বিধানসভা নির্বাচন হলে বিজেপি ৫০ উর্ধ আসন পাবে বলে জানান তিনি। কিছু মানুষের ডি এন এ- তে ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাদের পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তারা অঙ্ক কষতে জানেন না। ২৫ বছর সিপিএম-কে তারা রাজ্য উপহার হিসাবে দিয়েছিল। ত্রিপুরার মানুষ তাদের রাজনীতি সম্পর্কে অবগত বলে জানান তিনি।