Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যবৃদ্ধের হাত ও কোমর ভেঙে মাটিতে ফেলে বেঁধে রাখল পাষণ্ড ছেলে এবং...

বৃদ্ধের হাত ও কোমর ভেঙে মাটিতে ফেলে বেঁধে রাখল পাষণ্ড ছেলে এবং স্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ মে : সমাজকে কলুষিত করছে এক পাষণ্ড ছেলে। নিজে জন্মদাতা পিতাকে মারধর করে হাত ও কোমর ভেঙে দিল পাষণ্ড। এখন অসহায় বৃদ্ধ মাটিতে পড়ে থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছে। কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন প্রশাসন। এ হৃদয় বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের কাঞ্চনমালা এসবি স্কুল সংলগ্নে।

জানা যায়, রাজু বিশ্বাসের ছেলে মন্টু বিশ্বাস গত কয়েক মাস আগে তার জন্মদাতা বাবাকে মেরে হাত এবং কোমর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এই ঘটনার খবর পেয়ে কাঞ্চনমালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ এলাকার অনেকেই বাড়িতে গিয়ে ঘটনার খোঁজখবর নিয়ে আসেন, বলা হয়েছিল অতিসত্বর যেন মন্টু বিশ্বাস তার বাবাকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তুলে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মন্টু বিশ্বাস এবং তার মা রাজু বিশ্বাসকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করার দরকার বলে মনে করেনি, বরং শয্যাশায়ী বৃদ্ধ রাজু বিশ্বাসকে দড়ি দিয়ে বেঁধে পশুর থেকেও জঘন্য আচরণ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। ছেলে এবং স্ত্রীর এই এই অমানবিক আচরণের খবর পেয়ে বুধবার কাঞ্চনমালা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ কুমার মজুমদার ছুটে যান রাজু বিশ্বাসের বাড়িতে। সেখানে রাজু বিশ্বাসকে এই অবস্থায় দেখতে পেয়ে চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে উঠে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। রাজু বিশ্বাসের উপর এই অমানবিক আচরণের দৃশ্য দেখে তিনি নিজেও বুঝে উঠতে পারছিলেন না সমাজে এখনো মন্টু বিশ্বাসের মত ব্যক্তি রয়েছে। প্রধানকে দেখে শয্যাশায়ী রাজু বিশ্বাস বারবার বলছিলেন তাকে এই বাঁধন থেকে মুক্ত করে দিতে।

 রাজু বিশ্বাসের স্ত্রীকে বলা হয় এই ধরনের অমানবিক আচরণের ঘটনাটি নিয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে আগামী শুক্রবার বিচার সভা অনুষ্ঠিত হবে। এদিন প্রধান প্রদীপ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজু বিশ্বাসের সাথে ছেলে এবং স্ত্রী যে ধরনের আচরণ করছে সেটা মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে। কোন মানুষের সাথে এই ধরনের আচরণ করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। এই ঘটনা এলাকায় জানাজানি হতেই এলাকার লোকজনদের পক্ষ থেকে দাবি উঠছে প্রশাসনের কাছে যদি এমন কোন আইনি ব্যবস্থা থেকে থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই যেন প্রশাসন মন্টু বিশ্বাস এবং তার মায়ের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এই সমাজে এই ধরনের জঘন্যতম ঘটনা কোনভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। তবে খবরের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাই এখন দেখার বিষয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য