স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ মে : আশা করি সবকিছু ঠিক হবে, না হলে এলাকাবাসী দেখবে। কারণ বদলা কেউ ছাড়বে না। সব চুপচাপ আছে। নিকৃষ্ট স্বার্থের জন্য দূর্গা প্রসন্ন দেবকে হত্যা করা হয়েছে। শালবাগান এলাকার গুলিকান্ডের ঘটনার প্রসঙ্গে জিবি হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে এই কথা বলেন এলাকাবাসী। জানা যায়, নিকোসিয়েশন বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে কিছুদিন পর পর খুন অপহরণের মতো ঘটনা ঘটে চলেছে রাজধানীর ঊষা বাজার এলাকায়। এইবার দুষ্কৃতিরা গুলি করে হত্যা করল ঊষাবাজার স্থিত ভারত রত্ন সংঘ ক্লাবের সম্পাদক দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে।
জানা যায় বেশকিছু দিন ধরে নিকোসিয়েশন বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ভিকির সাথে ঝামেলা চলছিল এলাকার কিছু সমাজদ্রোহীর। এরই মধ্যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে তার বন্ধু বিমান দাস তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলে। যথারীতি দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকি গাড়িতে করে ঊষাবাজার থেকে বিমান দাসের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। হাতিপাড়া এলাকায় যাওয়ার পর মুখ বাধা অবস্থায় এক দুষ্কৃতি বাইক নিয়ে এসে গাড়ি দাড় করায়। ভিকি গাড়ির দরজার গ্লাস নামানোর সাথে সাথে ঐ দুষ্কৃতি পিস্তল দিয়ে তিন রাউন্ড গুলি চালায়। গাড়িতে মধ্যে গুরুতর ভাবে আহত হয় ভিকি। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ঐ দুষ্কৃতি। গাড়ির চালক সাথে সাথে ঘটনার বিষয়ে ভিকির পরিচিতদের জানায়। এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ভিকিকে আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে মৃত বলে ঘোষণা করে দেন। বুধবার দুপুরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারে হাতে তুলে দেওয়া হয়। সকাল থেকেই মর্গের সামনে হাজির হয়েছিল এলাকার বহু মানুষ। তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির বক্তব্য, আশা করি সবকিছু ঠিক হবে, না হলে এলাকাবাসী দেখবে।
কারণ বদলা কেউ ছাড়বে না। সব চুপচাপ আছে। নিকৃষ্ট স্বার্থের জন্য দূর্গা প্রসন্ন দেবকে হত্যা করা হয়েছে। নিকোসিয়েশন বাণিজ্য নিয়ে দুর্গা প্রসন্ন দেব ওরফে ভিকিকে হত্যা করা হয়েছে এইটা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক ডাক্তার দিলিপ দাসের বক্তব্য পুলিশ এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করবে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঊষাবাজার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। এইদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে বুধবার সকালে পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত ব্যক্তির নাম প্রদ্যৎ ধর চৌধুরী। এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তী সময় তাকে নিয়ে আসা হয় পশ্চিম আগরতলা থানায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। পাশাপাশি বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান জারি রেখেছে পুলিশ।