Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যসরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যেও খোলা স্কুল, অসন্তুষ্ট অভিভাবক...

সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তীব্র দাবদাহের মধ্যেও খোলা স্কুল, অসন্তুষ্ট অভিভাবক মহল

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ এপ্রিল : তীব্র দহন যন্ত্রণা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বস্তি দিতে রাজ্য সরকারের তরফে চারদিন স্কুল ছুটির জন্য জারি করা বিজ্ঞপ্তি তোয়াক্কা করল না বাধারঘাট স্থিত লিটল মিলেনিয়াম দ্যা বিগেস্ট স্টেপ স্কুল কর্তৃপক্ষ। সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যেও চালিয়ে গেল শিশুদের পঠন পাঠন সহ নাচ গান।

গত দুদিন ধরেই আবহাওয়া দপ্তর থেকে সর্তকতা জারি করে হচ্ছে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন তাপমাত্রা ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। যা স্বাভাবিক চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি। এ পরিস্থিতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে কচিকাঁচা ও শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে রাজ্যের বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কচিকাঁচারা তীব্র দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা। অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অংক আদায় করার জন্য বাধারঘাটের এই স্কুল এ ধরনের কার্যকলাপে রীতিমতোই ব্যস্ত থাকে। যাইহোক শিক্ষা দপ্তর থেকে কড়া নির্দেশ থাকলেও বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ পঠন পাঠন চালু রেখেছে।

 এর অন্যতম উদাহরণ বাধারঘাট স্থিত লিটল মিলেনিয়াম দ্যা বিগেস্ট স্টেপ স্কুল কর্তৃপক্ষ। কারণ মঙ্গলবার রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে চার দিন স্কুল ছুটির ঘোষণার বিবৃতি মানুষের মোবাইল ফোনে পৌঁছে গেলেও স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়নি লিটল মিলেনিয়াম দ্যা বিগেস্ট স্টেপ স্কুল কর্তৃপক্ষ। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা বুধবার সকালে স্কুলে পৌঁছাতেই স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকারা ছাত্র-ছাত্রীদের ফেলে রেখে আশেপাশে লুকিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে তাদের ডাকাডাকি করে আনা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সুতপা রাওত নামে এক শিক্ষিকা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দাবি করেন তারা নাকি বুধবার সকালে এই বিবৃতি মোবাইল ফোনে পেয়েছেন।

রাজ্যের সিংহভাগ মানুষ মঙ্গলবার এই বিবৃতি পেয়ে গেলেও এই শিক্ষিকার কথায় মনে হয়েছিল যেন তিনি মঙ্গল গ্রহে বসবাস করেন। যার কারণে উনাদের মোবাইলে বিবৃতি পৌঁছাতে একদিন বিলম্ব হয়েছে। সেই শিক্ষিকার দাবি তারপর নাকি তিনি অভিভাবকদের ফোন করে জিজ্ঞাসা করেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠাবে কিনা। তারপর যারা এসেছে তাদের নাকি এক ঘন্টা নাচ গান করিয়ে তারা বাড়ি পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে তিন দিন স্কুল বন্ধ রাখা হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গল গ্রহের এই সুতপা ম্যাডামের কথার এতটা অসংলগ্নতা ছিল যে তিনি কথা বানিয়ে বলছিলেন সেটা ষ্পষ্ট ধরা পড়েছে বলে মনে করছে অভিভাবকরা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যদি ছাত্রছাত্রীদের কোনরকম শারীরিক সমস্যা বা অসুস্থ হতো তাহলে এর দায়ভার কি স্কুল কর্তৃপক্ষ নিতে পারত? স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের এতটা উদাসীনতা অভিভাবকদের ভাবিয়ে তুলেছে। সুত্রে খবর ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি থেকে স্কুলে পাঠানোর ইচ্ছে ছিল না অভিভাবকদের। কর্তৃপক্ষের জোর জবরদস্তিতে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলমুখী করেছে অভিভাবক মহল। এই উদাসীন স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ‌পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে। না হলে এভাবেই বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সরকারের নির্দেশিকা কলাপাতা ভেবে ব্যবসা বিস্তার করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই মনে করছে অভিভাবক মহল।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য