Friday, March 21, 2025
বাড়িরাজ্যপানীয় জল ও রাস্তার দাবী পূরণ না হওয়ায় ভোট বয়কটের ডাক দিল...

পানীয় জল ও রাস্তার দাবী পূরণ না হওয়ায় ভোট বয়কটের ডাক দিল গ্রামবাসী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ এপ্রিল : পানীয় জল ও রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিলো পানিসাগর বিধানসভার থুংছড়াই ভিলেজের শেরচন্দ্র পাড়া এলাকার মানুষজন। সামনেই রাজ্যের দ্বিতীয় দফার ভোট, আর এই ভোট বয়কট ঘোষণা করে শাসক দলের নেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিলো থুংচড়াই এডিসি ভিলেজের জনজাতিরা। এলাকায় জল নেই, রাস্তা নেই।

 তাদের বক্তব্য ভারত স্বাধীনের পর থেকেই রিয়াং এই জনগোষ্ঠীরা ঐ এলাকায় বসতি স্থাপন করে আছে। সরকার যেমন তাদের কথা শুনে নি, তেমনি গ্রেটার তিপরাল্যান্ডের দাবি করা নেতাও তাদের সমস্যা সমাধানে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। বরং মাথা গুঁজেছে সর্বভারতীয় দলের সাথে। সুট কোট পরে তিনি এখন বড় নেতা। এভাবে গঙ্গায় অনেক জল গড়ালেও নুন আনতে পান্তা ফুরানো জনজাতিদের বিশুদ্ধ পানীয় জলের একমাত্র ভরসা সেই পাহাড়ী ছড়া। চলতি বর্ষা মৌসুমে দূ’কিমি দূরবর্তী এই পাহাড়ী ছড়ার জলেই তেষ্টা মেটানো থেকে শুরু করে আবাল বৃদ্ধদের স্নান ও কাপাড় কাঁচা, বাসন মাজা সবকিছু নির্ভর করতে হচ্ছে। যার ফলে প্রতিবছরই জল বাহিত রোগ ও ম্যালেরিয়ার প্রাদূর্ভাব দেখা দেয় বলেন জনজাতিরা। তাই সাংবাদিকদের দেখেই মহিলারা জলের কলসি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের আশ্বস্ত করার কেউ নেই। তাছাড়া শুখা মৌসুমে সেই পাহাড়ী ছড়াও মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন অন্যান্য গ্ৰাম থেকে জল সংগ্ৰহ করতে হয়।

অপরদিকে একই ভাবে বেহাল অবস্থা এই গ্ৰামে প্রবেশের একমাত্র সড়কটিরও।জয়শ্রী-দামছড়া সড়ক থেকে থুংচড়াই গ্ৰামে প্রবেশের মূল সড়কের প্রথমাংশে রয়েছে পিচ ঢালাই। এর পরেই সড়কের আসল রূপ ফুটে উঠেছে। পাহাড়ী আঁকা বাঁকা রাস্তায় কোথাও রয়েছে ইট বিছানো আবার কোথাও কর্দমাক্ত। এমতাবস্থায় কোনো নেতার দেখা নেই এলাকায়। পাইপ লাইনে জল পৌঁছে দেওয়ার নামে সাপ্লাই পয়েন্টও রয়েছে, শুধু নেই বিশুদ্ধ পানীয় জল।প্রায় শতাধিক পরিবারের মধ্যে নিরানব্বই শতাংশই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী। তাদের আয়ের প্রধান উৎস জুম ক্ষেত। আর এই জুমিয়া পরিবারগুলো এবার লোকসভা ভোট বয়কটের ডাক দিলো। এই আসনের বিজেপি প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মা বলে কথা, কিন্তু মহারাণীর হয়ে প্রচারেও কাউকে যেতে দেখা গেলো না। অবশ্য জুমিয়ারা জানায়, বিধানসভা নির্বাচনের সময় বিধায়ক বিনয় ভুষন দাস ভোট চাইতে এলাকায় গেলেও আর দেখা নেই বিধায়ক সাহেবের। এখন প্রশ্ন এই সমস্যা কবে নাগাদ সমাধান হবে ? আর সমস্যা সমাধান না হলে ভোট দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না গ্রামবাসী। এমনটাই জানা যায় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য