স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ এপ্রিল : বামফ্রন্ট সরকারের আমলে বিপ্লব কুমার দেব লাল চাল খেয়েছে। তাই গরিবের দুঃখ বোঝে। কিন্তু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, জিতেন্দ্র চৌধুরী তারা গরিবদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে লুট করতে জানে, তাই গরিবের দুঃখ বুঝে না। তাদের পেশা গরিবদের বিক্রি করে খাওয়া। এটা বিপ্লব কুমার দেব এবং নরেন্দ্র মোদি পেশা নয়। প্রয়োজনে বিপ্লব কুমার দেব নিজে বিক্রি হয়ে যাবে, কিন্তু মানুষ বিক্রি করে খাবে না। শুধু বিক্রি করে নয়, মানুষের জীবন কেড়ে নেয় তারা।
আর বিপ্লব কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ত্রিপুরা রাজ্যে একটিও রাজনৈতিক খুন হয়নি। তাই কমিউনিস্টরা খুনের পিপাসু। সোমবার ২৭ কল্যাণপুর প্রমোটনগরে বিজয় সংকল্প জনসমাবেশে বক্তব্য রেখে এই কথাগুলি বলেন রাজ্যসভার সংসদ বিপ্লব কুমার দেব। পূর্ব ত্রিপুরা আসনের মনোনীত বিজেপি প্রার্থী কৃতি দেবী দেববর্মার সমর্থনে আয়োজিত এই বিজয় সংকল্প জনসমাবেশ থেকে কংগ্রেস এবং ২৫ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, বামফ্রন্ট সরকার মানুষকে ক্যাপসুল চাউল খাওয়াতো। আর বর্তমান সরকার আসার পর সেই ক্যাপসুল চাল রেশনের মাধ্যমে প্রদান করা বন্ধ হয়েছে। এবং বামফ্রন্ট স্বর্ণযুগ চলছে বলে ২০১৮ সালের আগে দাবি করলেন গরিব মানুষকে ৫ কেজি করে বিনামূল্যে চাল প্রদান করার কোন বন্দোবস্ত করতে পারেনি। বর্তমান নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যের গরিব মানুষের জন্য ৫ কেজি করে বিনামূল্যে চাল প্রদান করার ব্যবস্থা করেছে।
সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো চারবারের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছানোর ব্যবস্থা পর্যন্ত করতে পারে নি। তোপ দেগে আরো বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের আমলে সৃষ্টি হওয়া এন এল এফ টি -কে মদত দিত কংগ্রেস এবং এ টি টি এফ -কে মদত দিতো সিপিআইএম। এমনকি রাজ্যে আশির দাঙ্গার জন্য দায়ী ছিল তারা। আর ভোট আসলে দেখা যেত তাদের অবস্থা। এভাবেই কাটিয়েছে তারা ২৫ বছর। নারী, কৃষক, যুবক কারোর বিকাশের জন্য তাদের কাছে ছিল না কোন লক্ষ্য। ২০১৮ সালে তাদের প্রত্যাহার করেছে মানুষ। বিপ্লব কুমার দেব কংগ্রেসের চরিত্র নিয়ে আঙ্গুল তুলে বলেন, ২৫ বছরে পাঁচবার নির্বাচনের সময় কংগ্রেস বলেছে শুধু “আইয়া পড়তাছি।”আইয়া পড়লে জ্বালিয়ে দিমু, পুড়িয়ে দিমু। আজ যখন ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতো তখন দেখা যেত পরাজিত হয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৮ সালে তাদের পরাজিত করে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এরপর একজনও কমিউনিস্ট খুন হয়নি বলে জনসমাবেশ থেকে দাবি করেন বিপ্লব কুমার দেব। আয়োজিত জনসমাবেশে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।