আগরতলা, ১৬ এপ্রিল: পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক ১৭ এপ্রিল অর্থাৎ বুধবার একদিনের ঝটিকা নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আসছেন ভারতীয় জনতা পার্টির বরিষ্ঠ নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুপুর নাগাদ আগরতলা বিমানবন্দরে অবতরণ করে রাজধানীর স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় সম্বোধন করবেন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রীর জনসভার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বিবেকানন্দ ময়দান পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। সভাস্থলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করে অসমাপ্ত কাজগুলি দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন তিনি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনে সরব প্রচারের অন্তিম লগ্ন প্রায় হাজির। আগামী ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসন ও রামনগর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ। সরব প্রচারের অন্তিম দিনে অর্থাৎ বুধবার ঝটিকা প্রচারে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর সম্পর্কে রাজ্যবাসীকে অবহিত করেছে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ কমিটি। প্রধানমন্ত্রী মোদির জনসভাকে স্মরণীয় ও ঐতিহাসিক করে তুলতে শেষমুহূর্তে চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে জনসভা স্থল স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান।
শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার বিবেকানন্দ ময়দান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা। পরিদর্শনকালে তিনি সভাস্থলের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি রাজীব ভট্টাচাৰ্য, অর্থমন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় সহ দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব। পরে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, সভাস্থলে প্রস্তুতি বেশ ভালোই হচ্ছে। যেসমস্ত কাজ এখনো শেষ হয়নি সেগুলি দ্রুত শেষ করতে বলা হয়েছে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি মার্গদর্শন দেন সেটা চাক্ষুষ ও শ্রবণ করার জন্য দুপুর একটার মধ্যে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে উপস্থিত থাকতে রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা। তিনি আরো জানান, দুপুর দুটোয় সমাবেশের কাজ শুরু হয়ে যাবে। তাই অন্তত এক ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে আসার অনুরোধ রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর পাশাপাশি বুধবার জনসমাবেশের কাজে নিযুক্ত কার্যকর্তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোন সমস্যা থাকলে দ্রুত সমাধানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। আর প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে ইতিমধ্যে গোটা রাজধানী জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। সভাস্থল সহ আশপাশের এলাকাগুলিকে নো ফ্লাইং জোন হিসেবে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা এজেন্সি সহ রাজ্য আরক্ষা দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকগণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখছেন।