Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যবাজেট ঘোষণা সত্বেও এডিসি'তে ১৪৩৫ কোটির প্রকল্পের দেখা নেই

বাজেট ঘোষণা সত্বেও এডিসি’তে ১৪৩৫ কোটির প্রকল্পের দেখা নেই

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,৬ এপ্রিল: রাজ্যের জনজাতিদের জীবনমান উন্নয়নে | নানাবিধ পরিকল্পনা নিয়েছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এমনটাই বলছেন শাসক | শিবিরের নেতারা। পরিকল্পনা যাই হোক না কেন, জনজাতিদের জন্য গৃহীত প্রকল্পই এখনো শুরু করা যায় নি। ত্রিপুরা রুরাল ইকোনমিক গ্রোথ | অ্যান্ড সার্ভিস ডেলিভারি প্রজেক্ট নামে একটি প্রকল্পের জন্য বাজেটে | টাকা রাখা হলেও কাজই শুরু হয় নি। ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের বাজেট ভাষণে রাজ্য সরকার স্থায়ী | জীবিকার্জনের সুযোগ এবং

পরিকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে রাজ্যের জনজাতিদের জীবনের মান উন্নয়নের জন্য বিশ্ব ব্যাঙ্ক এর সহায়তায় ত্রিপুরা রুরাল ইকোনমিক গ্রোথ অ্যান্ড সার্ভিস ডেলিভারি তথা টিআরইএসপি এর কাজ শুরু করার ঘোষণা করেছিল। বাজেট ভাষণে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন এই প্রকল্পের জন্য ১,৪৩৫ কোটি (১৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছে বিশ্বব্যঙ্ক। কয়েক মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে রাজ্যে। কিন্তু অর্থ বছর শেষ হয়ে গেলেও কাজের দেখা নেই। তবে জনজাতি এলাকায় ভোটের

মুখে বেশ কিছু মনমোহিনী প্রকল্পের গল্প শুনিয়ে ভোট আদায় করার চেষ্টা হচ্ছে। অথচ বাজেটে অর্থ বরাদ্দ হলেও কাজের দেখা নেই। ইতিমধ্যে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি ত্রিপুরা সরকারের জনজাতি কল্যাণ দপ্তর। এদিকে প্রকল্পের কাজ শুরুর আগেই রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের জন্য ৪ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ফেলেছে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে

প্রকল্পের কাজ শুরুই হয়নি, সেজায়গায় ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তর কোথায় ব্যয় করলো? উপজাতি কল্যাণ দপ্তর সূত্রে খবর, এখনো এই প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এই প্রকল্পের জন্য আদৌ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে কিনা তা বলা মুশকিল। কারণ ঐ প্রকল্পে লোক নিয়োগের জন্য বরাত পাওয়া বহিঃরাজ্যের টিঅ্যান্ড এম সার্ভিস কনসালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড নামক সংস্থাকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তর থেকে যে সময় দেওয়া হয়েছিল তা বহু আগেই পার হয়ে গেছে।

ঐ সংস্থা লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার এক সপ্তাহের পরেও মৌখিক সাক্ষাৎকারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, একাধিক পদে বাছাই করে কিছু প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ঐ বহিঃরাজ্যের নিয়োগকারী সংস্থার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তর মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। মৌখিক সাক্ষাৎকারের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে বিলম্ব হওয়ার প্রধান কারণ পছন্দের প্রার্থী বাছাই করা। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, গত আর্থিক বছরে এই প্রকল্পের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। অর্থ বরাদ্দ থাকলেও পর্যাপ্ত মানব সম্পদের অভাবে ঐ প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের উদাসীনতার কারণে রাজ্যের গিরীবাসীদের জীবন যাপনের মান উন্নত হওয়ার বদলে প্রতিদিন অবনতি হচ্ছে। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলে একদিকে যেমন বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতো, তেমনিভাবে রাজ্যের গিরীবাসীদের জীবন যাত্রার মান উন্নত থেকে উন্নততর হতো এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য