স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ মার্চ : নিখোঁজ ভাইকে খুঁজে পেতে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন বড় ভাই বিমল দাস ও তার পরিবার। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০ দিন আগে তুলামুড়া তাইধুম এস বি স্কুল থেকে বাড়ি আসার পথে বড়পাথরী মোটর স্ট্যান্ড থেকে নিখোঁজ হয় পি আর বাড়ি থানাধীন চোত্তাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভৈরব নগর এলাকার শিক্ষক সহদেব দাস।
সে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক ছিল তুলামুড়া তাইধুম এস বি স্কুলে। গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারি স্কুলে গিয়ে দুপুর পর্যন্ত ভাই বাড়িতে না ফেরায় বড় ভাই বিমল দাস এবং পরিবার আত্মীয়-স্বজনরা মিলে অনেক খোঁজাখুজি করে। কিন্তু কোথাও খুঁজে না পেয়ে পরবর্তী সময়ে পি আর বাড়ি থানায় লিখিতভাবে নিখোঁজ মামলা করেন। বড় ভাই বিমল দাসের অভিযোগ তার ছোট ভাই শিক্ষক সহদেব দাস কে অপহরণ করে হয়তোবা মেরে ফেলেছে তার স্ত্রী এবং স্ত্রীর বয়ফ্রেন্ড সহ পরিবারের লোকজন। প্রায় নয় মাস আগে সামাজিকভাবে সহদেব দাসের বিয়ে হয় সিদ্ধিনগর এলাকার কাবেরী দাসের সাথে। মাসখানেক ভালো ভাবে চলার পর ভাইয়ের জীবনে নেমে আসে অশান্তি।
অভিযোগ সিদ্ধিনগর এলাকার বাসিন্দা সত্যনারায়ণ দেবনাথের সাথে ভাইয়ের স্ত্রী কাবেরী দাসের বিবাহের আগে থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সত্যনারায়ণ কাবেরী দাসের বয়ফ্রেন্ড। বিয়ের তিন মাসের মধ্যে কাবেরী তার স্বামীকে নিয়ে নিজ বাড়িতে যায়। তারপর সেখানে বয়ফ্রেন্ড সত্যনারায়ণকে সাথে নিয়ে এবং পরিবারের লোকজন মিলে ভাই সহদেবকে মারধর করে হারপিক খাইয়ে দেয়। ঘটনা বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি সহদেবকে হাসপাতাল নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে জি বি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কিছুদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে লড়তে কিছুটা সুস্থ হলে ভাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এবং সুস্থ করতে চেন্নাইতে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সহদেব সুস্থ হলেও হারপিক খাইয়ে দেওয়ার কারণে এখনো অনেকটাই অসুস্থ রয়েছে। মানসিকভাবে অনেকটা বিপর্যস্ত। তারপরও কোনরকমে ইতিমধ্যেই স্কুলে যাওয়া শুরু করে। কিন্তু গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ বলে অভিযোগ।