স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ ফেব্রুয়ারি : বুধবার তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের নবনির্মিত দ্বিতল বিশিষ্ট পাকা ভবনের দ্বারোদঘাটন করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বুধবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, কল্যাণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, ২৯ কৃষ্ণপুরের বিধায়ক ডঃ অতুল দেববর্মা, খোয়াই জেলা সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা, রাজ্য শিক্ষা অধিকর্তা চাঁদনী চন্দন, সহ একাধিক আধিকারিকরা।
এদিনের এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রয়াত সঙ্গীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র লতামঙ্গেসকার ও প্রয়াতঃ ভারতের সেনা অধিনায়ক বিপিন রাওয়াত এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। দীর্ঘ বছর পূর্বে তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় এর জন্য ৬০ কানি নিজ জায়গা দান করেন মুনিপদ জমাতিয়া। এদিনের এই অনুষ্ঠানে মুনিপদ জমাতিয়া পরিবারের বংশধর কার্তিক জমাতিয়াকে চাদর পরিয়ে সম্মাননা প্রদান করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তেলিয়ামুড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় দ্বিতল ভবনের শিলান্যাস হয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় এই বিদ্যালয়ের নতুন ভবন। অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব রাজ্যের শিক্ষার বিভিন্ন উন্নতির দিক গুলি তুলে ধরেন। তিনি পূর্বতন সরকারের আমলে উন্নয়ন মূলক কাজে অনীহা নিয়ে সমালোচনা করেন। রাজ্য সরকারের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কেও তিনি আলোকপাত করেন। আগে নিরাশার রাজনীতি ত্রিপুরাতে হতো। মানুষকে বঞ্চিত, শোষিত, লাঞ্জিত এই শব্দ গুলি শুনতে বাধ্য করা হত। এখন ত্রিপুরাতে নিরাশার কোন স্থান নেই। আত্ম নির্ভর ত্রিপুরার মানসিকতা, স্ব নির্ভর হওয়ার উদ্দীপনা এগুলি এখন আশা বাড়াচ্ছে রাজ্যবাসীর। লাইট হাউস, আই সি পি, স্মার্ট সিটি, আধুনিক বিমান বন্দর এই শব্দ গুলি রাজ্যের মানুষকে শক্তি যোগাচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায় , বিধায়ক পিনাকি দাস চৌধুরী, বিধায়ক ডক্টর অতুল দেববর্মা। শেষে উপজেলা ভিত্তিক বিজ্ঞান মেলায় আগত বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মডেল গুলিও ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথি এবং দপ্তর আধিকারিকরা। বিদ্যালয়ের কৃতিদের এদিন সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।