স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ ফেব্রুয়ারি। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি আগরতলা মুক্তধারা অডিটোরিয়ামে অ্যানিমিয়া ও টিবি মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে পক্ষকাল ব্যাপী বিশেষ অভিযান এবং ইনটেনসিফায়েড পালস পোলিও ইমিউনাইজেশন কর্মসূচির রাজ্যভিত্তিক কর্মসূচীর সূচনা হবে। এবছর ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে শূন্য থেকে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের দুই ফোঁটা পোলিও ড্রপ খাওয়ানো হবে। এই কর্মসূচিতে প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার শিশুকে পোলিও ডোজ দেওয়া হবে। ত্রিপুরার মোট ৩৬২৯ বুথে পোলিও ড্রপ খাওয়ানো হবে।
যে সমস্ত শিশুরা ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই ফোঁটা ডোজ খেতে পারবে না, তাদের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ আশা কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুই ফোঁটা পোলিও ড্রপ খাওয়াবেন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা জানান এন এইচ এম এর মিশন অধিকর্তা সিদ্ধার্থ শিব জশওয়াল। সুস্থ ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা এই লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ২ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত পক্ষকালব্যাপী বিশেষ অভিযান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অ্যানিমিয়া মুক্ত ত্রিপুরা করতে এবং ত্রিপুরাকে টিবি মুক্ত করতে গোটা রাজ্যে ১৫ দিন ধরে এই কর্মসূচি চলবে। আশা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সের শিশুদের দুইবার আয়রন এন্ড ফলিক এসিড সিরাপ খাওয়াবেন।
৫ থেকে ৯ বছর বয়সের শিশুদের সপ্তাহে একটি গোলাপি আয়রন এন্ড ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের সপ্তাহে একটি নীল আয়রন এন্ড ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। গর্ভবতী মহিলাদের অনুরূপভাবে আয়রন ট্যাবলেট এবং ফলিক এসিড ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এই কর্মসূচিতে ১৪ হাজারের অধিক গর্ভবতী মহিলা এবং ১৮ হাজারের অধিক প্রজননক্ষম মহিলাদের রক্তাল্পতা দূরীকরণ সম্বলিত পরিষেবা প্রদান করা হবে। ২ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ত্রিপুরাকে টিবি মুক্ত করতে আশা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিবি রোগী শনাক্ত করবেন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিনামূল্যে ঔষধ প্রদান করবেন। এই অভিযানে ৮৪ হাজার বাড়ি পরিদর্শন করবেন তারা। গোটা রাজ্যে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষের উপর টিবি রোগ শনাক্ত করনের কাজ করা হবে। রক্তাল্পতা দূরীকরণ এবং যক্ষ্মা নির্মূলিকরণ সুনিশ্চিত করতে রাজ্যের ৩৬০০ টির অধিক স্কুল এবং ৬৭০০ টির অধিক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পক্ষকালব্যাপী এই কর্মসূচি আয়োজিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।