স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের মহাকরণ সহ বিভিন্ন দপ্তর ও অধিকর্তাদের সঙ্গে থাকে স্টেনোগ্রাফাররা। তবে বর্তমানে যে পরিমাণ স্টেণোগ্রাফার রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। তাই মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন করে টি পি এস সি-র মাধ্যমে ৫০ জন স্টেনোগ্রাফার নিয়োগ করার। বর্তমানে মোট স্টেনোগ্রাফারের পদ রয়েছে ৩৯৬ টি। এর মধ্যে কর্মরত অবস্থায় আছেন ৬৮ জন। নতুন করে নিয়োগ করা হয়েছে ৪৭ জনকে। যারা সহসাই চাকুরীতে যোগ দেবেন।
এবার বাকী ২৮১ টি পদের মধ্যে নতুন করে ৫০ জন স্টেনোগ্রাফার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি আরও জানান নগরোন্নয়ন দপ্তরের জন্য নতুন করে ১৫ টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১ টি অফিস সুপারেনটেন্ডেন্ট পদ। হেড ক্লার্ক ১ টি, আপার ডিভিশন ক্লার্ক ৭ টি পদ, জুনিয়ার রিসার্স অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ৪ জন এবং রিসার্স অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ২ জন। এগুলি পরবর্তী সময় নগরোন্নয়ন দপ্তরের তাদের সুবিধা মত প্রদান করবে। পাঁচ বছরের জন্য গঠন করা হয়েছে টি পি এন্ড জে মিশন। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধীন এই মিশন গঠন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। যা কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে। জারি থাকবে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এই মিশনের লক্ষ্য হচ্ছে ত্রিপুরায় উৎপাদিত আনারস ও কাঁঠাল যাতে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়ে পরিচিতি আনা। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা আনা সম্ভব হয়। ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাঁঠাল ও আনারাসের রপ্তানী আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে বলে জানান তিনি। এর জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ১৫৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১০ কোটি টাকা রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর। বাকী টাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, ডোনার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক থেকে আনা হবে। শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের অধিকর্তা হবেন মিশন অধিকর্তা, প্রধান সচিব থাকবে এক্জিকিউটিভ কমিটির প্রধান এবং মুখ্যসচিব থাকবেন এস এল সি সি-র প্রধান বলে জানান তিনি।