স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মার্চ : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বলেন, বিজেপি এই দেশের গণতন্ত্র জবাই করার জন্য কাজ চালিয়েছে। তারা ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে দশ বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ তৈরি করেছে।
এ চুরি এবং অন্যায় সুপ্রিম কোর্টে ধরা পড়েছে। ফলে তাদের মুখ পুড়েছে। এর থেকে নিজেদের আড়াল করতে চেষ্টা করেও পাড় পাচ্ছে না। মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগেই স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে দেয় নির্বাচন কমিশনের হাতে। এবার সেই তথ্য আগামী শুক্রবারে মধ্যে কমিশনকে নিজের সরকারি ওয়েবসাইট বন্ড তথ্য প্রকাশ করতে হবে, তেমনই নির্দেশ আছে সুপ্রিম কোর্টের। আর এটাকে আড়াল করতে বিজেপি জেনে শুনে মানুষকে অন্য দিকে ধাবিত করতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সামনে এনেছে। এই আইন লোকসভা নির্বাচনের পরেও লাগু করতে পারত। কিন্তু তা না করে লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার প্রাক্ মুহূর্তে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু করেছে। এতে শাসক দল সহ সাঙ্গোপাঙ্গের আসল চেহারা সামনে উঠে আসবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। এদিকে বুধবার এই আইনের বিরোধিতা করেছেন আমার বাঙালি রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার গত ১০ মার্চ লাগু করেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। এই আইন নিয়ে গত চার বছর ধরে গোটা দেশজুড়ে অস্থিরতা চলছে। ২০১৯ সালে যখন এই আইন লাগু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছিল গোটা দেশ। সেই মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়েছিল অশান্তি। হয়েছিল আন্দোলন। ১০০ এর উপরে সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। গত চার বছর পর লোকসভা নির্বাচনের ঠিক প্রাক মুহূর্তে এই আইন ঘোষণা করার পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের কি উদ্দেশ্য রয়েছে? সাংবাদিক সম্মেলনে আমরা বাঙালি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির তরফে আরও দাবি করা হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনের আইনে কি কি ধারা উপধারা রয়েছে তা এখনো পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে অবগত করানো হয়নি। নতুন করে নাগরিকত্ব সংশোধনের আইন আনার কেন প্রয়োজন পড়লো এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। আমরা বাঙালি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিল এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন তারা মানে না। তাদের দাবি সংবিধান অনুযায়ী যেভাবে নাগরিকত্ব দেওয়ার বিধি রয়েছে সেই বিধিকেই তারা মান্যতা দেয়। লোকসভা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে এবং ভোট পাওয়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়লাভের জন্য এই ষড়যন্ত্র করে চলেছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনের দাবি করেছে আমরা বাঙালি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটি।