স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ মার্চ : আই.জি.এম হাসপাতালে প্রসব হওয়া সন্তানের মৃত্যু ঘিরে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চরম গাফিলতির অভিযোগ তুললো মৃত শিশুর পরিবার। অভিযোগ সুরশ্রী সরকার সাহা নামে এক গর্ভবতী মহিলাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা আইজিএম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
অস্বাভাবিক ব্যাথায় গর্ভবতী মহিলা তখন থেকেই ছটফট করছিল। কিন্তু হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্সরা জানিয়ে দেন আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সকালে নর্মাল ডেলিভারি করা হবে। সারারাত গর্ভবতী মহিলা ছটফট করার পর একটা সময়ের পর গৃহবধূ পরিবারের লোকজনেরা গিয়ে চিকিৎসককে বলেন যদি সিজার করা হয় তাহলে করে ফেলার জন্য। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিবারের লোকদের কথায় মানতে নারাজ ছিলেন। অবশেষে গৃহবধূর আত্মচিৎকারে দিশেহারা হয়ে পরিবারের লোকজনেরা চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানায় যদি সিজার না করা হয় তাহলে তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। তারা কোন নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূর ডেলিভারি করবে।
কিন্তু তারপরও মানতে চাননি চিকিৎসক। গৃহবধূরের চিৎকার শেষ পর্যন্ত গভীর রাতে গৃহবধূ বাপের বাড়ির লোকজনেরা গিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বলেন তাদের মেয়ে ব্যথায় অস্বাভাবিক চিৎকার করছে, ওয়ার্ডে দেখতে আসার জন্য। তখন অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেন হাসপাতালের নার্সেরা। অভিযোগ যে ব্যবহার রাস্তার কুকুরের সাথে মানুষ করে না, নার্সরা সেটা করেছেন। তারপর সকাল হওয়ার পর ওটি -তে নিয়ে যাওয়া হয় গর্ভবতী মহিলাকে। কিছুক্ষণ পর গর্ভবতী মহিলার স্বামীকে নার্স জানান সন্তান হয়েছে। দেখার জন্য লেবার রুমে যাওয়া কথা বলেন। যথারীতি তারা গিয়ে শিশুটিকে দেখে আসে। শিশুটি সুস্থ ছিল। ১৫ মিনিট পর আবার এসে পরিবারের লোকজনদের বলেন, শিশুটি মৃত্যু হয়েছে। তখন কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃত শিশুর পরিবার। চিকিৎসক ও নার্সের চরম গাফিলতি কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন স্বামী শাশুড়ি সহ পরিবারের সকলে। তাদের বক্তব্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অত্যন্ত ব্যথা অবস্থায় নিয়ে আসার পর সাথে সাথে যদি সিজার করা হতো তাহলে মৃত্যুর পরে ঢলে পড়তো না শিশুটি। তারা আরো জানান ঘটনার পর চিকিৎসক দেখা পাননি। ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে গেছে তিনি। এবং হাসপাতালে নিম্ন পরিষেবার অভিযোগ তুলে বলেন কেউ যাতে হাসপাতালে পরিষেবা নিতে না আসে। অভিজ্ঞ ডাক্তারের অত্যন্ত অভাব হাসপাতালে। বিশেষ করে নার্সদের দুর্ব্যবহার সহ্য করার মতো নয়। রোগীর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হলে তাদের গিয়ে বলা হলে তারা আসে না রোগীকে দেখার জন্য। বিগত দিনে হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর যে অভিযোগ গুলি তারা কানে শুনতে পেত তার বাস্তব চিত্র প্রত্যক্ষ করছেন এদিন। আরো বলেন হাসপাতালে জরুরী বিভাগ শুধুমাত্র সাইনবোর্ডে রয়েছে। বাস্তবে এর কোন প্রতিফলন নেই। যার প্রতিফলন আবারো ঘটেছে। সরকারের কাছে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করলেন মৃত শিশুর পরিবার।