স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ মার্চ : অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে জলের মেশিন না বসিয়ে সুশাসন জামানার চুনোপুঁটি উপপ্রধানের নিকটবর্তী আত্মীয়ের বাড়িতে বসনো হল জলের মেশিন। এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে তেলকাজলা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে। আবার বড় করে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে জল জীবন মিশনের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা দেখে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীর মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থা।
তিনি অস্বীকার করলেন এই উন্নয়নের। জানা গেছে মোহনভোগ আর ডি ব্লকের অন্তর্গত তেল কাজলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬ নং ওয়ার্ডের মুড়াপাড়া এলাকায় চুনু মিয়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে দীর্ঘদিনের জলের সমস্যা ছিল, তাই সংশ্লিষ্ট ডি ডাব্লিও এস দপ্তর সেই সমস্যার সমাধান করার নামে দুর্নীতির খাতায় নাম নথিভুক্ত করল। এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করে পানীয় জলের মেশিন বসানো হয়েছে বলে বিশাল বড় সাইনবোর্ড বসানো হয়। কিন্তু দেখা নেই জলের মেশিনের। অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা জলের মেশিন ছাড়া সাইনবোর্ড দেখতে পেয়ে হতভম্ব হয়ে পড়েন। সুশাসনের মুখে কতটুকু চুনকালি মাখছে সংশ্লিষ্ট ডিডাব্লিউএস দপ্তর সহ স্থানীয় কিছু চুনোপুঁটি নেতা সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে যেমন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের পুরনো সেই জলের সমস্যা রয়েই গেল, অন্যদিকে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের নামে আসা জলের মেশিনটি এলাকার উপ-প্রধান সুবহান মিয়ার জামাই চারো মিয়ার বাড়িতে নিয়ে বসানো হয় বলে সূত্রে খবর। আর এদিকের সরকারি জলের মেশিন পেয়ে চারু মিয়া নিজের সবজি খেতে জল সেচ সহ কিছু মানুষের বাড়িতে জলের ব্যবস্থা করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে আসছে। যদিও স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট ডি.ডাব্লিউ.এস দপ্তরের কাছে বিষয়টি জানতে গেলে দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়ে দেন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে জলের মেশিন বসানোর দায়িত্বটি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের হাতে দেওয়া হয়েছিল। তবে পঞ্চায়েত প্রতিনিধি রাজ্যে কিভাবে দুর্নীতি করে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের জলের মেশিন অন্যত্র সরিয়ে দিয়ে দুর্নীতি করবে তা কেউ গুনাক্ষরেও টের পায়নি। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের ইশারায় রাতের অন্ধকারে চুপচাপ জল জীবন মিশনের সাইনবোর্ড বসিয়ে দিয়ে যায়, কিন্তু মঙ্গলবার সকালে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের শিক্ষিকা এই দৃশ্য দেখে হতবাক। তবে এই ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীদের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে এই ঘটনা কতটা সুষ্ঠু তদন্ত হবে সেটা জানা নেই। কিন্তু এই ধরনের দুর্নীতি বাম আমলের মত রাম আমলেও কেউ কেউ করে চলছে তার বলার অপেক্ষায় রাখে না। যেখানে শিশুদের জন্য এবং গর্ভবতী মহিলাদের জন্য জলের সুবিধা হওয়ার কথা সেখানে উন্নয়ন শুধু নেতার বাড়িতে। আর সাধারণ জনগণ শুধু উন্নয়নের মন্ত্র শুনে যাচ্ছে। তবে গ্রামের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। কারণ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু নেতার একের পর এক দুর্নীতি মানুষকে দিশেহারা করে তুলছে।