Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যমন্ত্রীর সাথে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত বৈঠক প্রদ্যুৎ -এর, এদিকে দলের ঘাটতি নিয়ে...

মন্ত্রীর সাথে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত বৈঠক প্রদ্যুৎ -এর, এদিকে দলের ঘাটতি নিয়ে আলোচনার টেবিলে বসলো জনজাতি মোর্চা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ ফেব্রুয়ারি : সর্ষে ভূত খুঁজছে বিজেপি। রাজ্যের কুড়িটি এস.টি আসনে বিস্তারক পাঠিয়ে দলের দুর্বলতা খুঁজে এনে বৈঠকে বসলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। এদিকে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার বাড়িতে গিয়ে লড়াইয়ের জন্য পাশে চাইলেন তিপ্রা মথার সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ।

লোকসভা নির্বাচনের আগে শাসক, বিরোধী তরজার লড়াই শুরু হয়েছে বলা চলে। তবে প্রাক্তন মুখিয়া আস্কারায় গজে উঠা দলকে এবার টেনেও নিচে নামাতে পারছে না বিজেপি। এমনটাই রাজনৈতিক মহলের প্রসঙ্গ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মথা। ২০১৮ সালে সরকারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এডিসি নিয়ে তেমন কোনো মাথাব্যথা ছিল না। কিন্তু তারপর জন্ম নেওয়া মথাকে নিয়ে আজ শাসক শিবিরে মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে। দলের নেতৃত্ব সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিরোধী দল তিপরা মথাকে নিয়ে মাথাব্যথা নেই বলে দাবি করলেও যথেষ্ট চাপে রয়েছে প্রদেশ বিজেপি। গত এডিসি নির্বাচনে সময় আইপিএফটি -র সাথে আসন ভাগাভাগিতে ছিল প্রথম ভুল বিজেপি -র।

মাত্র কয়েকটি আসন জনজাতিদের দিয়ে আইপিএফটির উপর ভরসা করেছিলেন প্রাক্তন মুখিয়া। যার খেসারত দিতে হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের আগে। গত চার বছরে পাহাড়ে জনজাতি অংশের মানুষকে আবেগে ভাসিয়েছে মথা। যার ফলে কত বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির গলার কাটা হয়ে উঠেছিল প্রদ্যুৎ। বড় কৌশল করে নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হলেও লোকসভা নির্বাচনের আগে নিয়ন্ত্রণ বিহীন হয়ে গেছে প্রদ্যুৎ। সময় সময়ে দিল্লির ডাকে সাড়া দিয়ে গেলেও চূড়ান্ত বোঝাপড়ায় আসতে পারছে না দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে দ্বিধাগ্রস্ত প্রদ্যুৎ আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি বড়মুড়ায় তিনি আমরণ অনশনে বসবেন। তার বক্তব্য গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় সরকারের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার পূরণের জন্য এডিসি -কে সরাসরি অর্থ রাশি বরাদ্দ করা, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা সহ যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেগুলি কোন কিছু পালন করে নি। গত এক বছরে বহুবার দাবি জানানো হয়েছিল। দিল্লির নির্দেশে মধ্যস্ততাকারী এ কে মিশ্রা রাজ্যে এসেছিলেন। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে দাবি পূরণ হয়নি। জনজাতি অংশের মানুষকে আর ভরসা দিতে না পেরে আমরণ অনশনে বসতে চলেছেন তিনি। এর মধ্যে সোমবার রাতে মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার বাসভবনে যান প্রদ্যুৎ। কথা বলেন মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়ার সঙ্গে। সেখান থেকে আলোচনার পর বের হয়ে জানান জানাজাতে অংশের মানুষের দাবি পূরণের জন্য তিনি শুক্লাচরণকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান করেছেন। মঙ্গলবার দেখা গেল জনজাতি মোর্চার সাংগঠনিক বৈঠক।

প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে আয়োজিত এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ জনজাতি মোর্চার সভাপতি পরিমল দেববর্মা, প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য। রাজিব ভট্টাচার্য দাবি করেন জনজাতিদের বিকাশের জন্য কাজ করছে বর্তমান সরকার। এবং এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত করে মানুষের কাছে কিভাবে পৌঁছানো যায় সেগুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এদিন। তবে রাজ্যের ২০ টি এস.টি আসনে কি ঘাটতি রয়েছে তা জানতে পাঁচ দিনের জন্য বিস্তারক পাঠানো হয়েছিল। যেসব ঘাটতিগুলি রয়েছে সেগুলি পূরণ করে আগামী লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শ্রী ভট্টাচার্য। তবে শাসক বিরোধী তরজার লড়াই ইতিমধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক সাড়া দিয়েছে। কারণ অনেকের মতে ছায়া সঙ্গী হিসেবে আর নেই মথা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য