-স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ফেব্রুয়ারি : কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশটাকে লুটপাট করে খাচ্ছে। দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার। এটা অস্বীকার করার কোন সুযোগ নেই। তারা আবার অন্যের পেছনে সিবিআই এবং ইডি লাগায়। সাহস থাকলে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ গুলি সিবিআই এবং ইডি লাগিয়ে তদন্ত করুক।
তাহলে সমস্ত কিছু বের হয়ে আসবে। শুক্রবার প্রতিবাদে সামিল হয়ে এ কথা বলেন সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে। এদিন দিল্লী ও চণ্ডীগড়ে আন্দোলনরত কৃষকদের উপর বর্বর আক্রমণের প্রতিবাদে আগরতলা শহরে শ্রমিক কৃষকদের বিক্ষোভ মিছিল হয়। আগরতলা প্যারাডাইস চৌমুহনি সংলগ্ন এলাকায় এসে রাস্তার মাঝে বসে পড়ে বিক্ষোভ কারীরা। বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। মানিক দে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে বলেন, টাকা দিয়ে সরকার এদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে। মানুষের জনমত কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। রাজ্যের ক্ষেত্রেও ২০১৮ এবং ২০২৩ সালে অর্থ দিয়ে মানুষের মনকে প্রভাবিত করেছে। এই অর্থ দিচ্ছে যারা দেশের মানুষের কষ্টার্জিত সম্পত্তি ক্রয় করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত হলে আদানি আম্বানির নাম বের হয়ে আসবে। তাই নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার গত দশ বছর ধরে দেশের মানুষের স্বার্থের পরিপন্থী কাজ করেছে। শুধু তাই নয় দেশের মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাই এই সরকারকে দেশবাসী কোনদিন ক্ষমা করবে না। আগামী নির্বাচন গুলিতে সরকারের কাছে এর জবাব চাইতে প্রস্তুত দেশবাসী।
লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, কৃষক, শ্রমিক বেকার সহ সব অংশের মানুষ এই সরকারকে জবাব দিয়ে ছাড়বে বলে জানান তিনি। আরো বলেন, রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, আগামী দিন লড়াই ময়দানে এগিয়ে আসার জন্য মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে। কারণ এ সরকারের কারণে পরিস্থিতি ধৈর্য সীমার বাইরে চলে গেছে। তাই এই পরিস্থিতি বেশি দিন চলতে দেওয়া যায় না। শুধুমাত্র ভাষণের পর ভাষণ দিচ্ছে কাজের কাজ কিছুই করছে না বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের ১০ বছরে শিল্প কারখানা বন্ধ, বেকারত্ব, কৃষক শ্রমিক বিপন্ন, দুর্নীতি সহ সবদিক থেকে দেশবাসীর অভিজ্ঞতা হয়েছে। অচল হয়ে গেছে দেশ। আর দেশ অচল হয়ে যাওয়া মানে মানুষ বিপন্ন হয়ে গেছে। তাই মানুষ এবার লড়াই সংগ্রামে এগিয়ে আসছে বলে জানান তিনি। এদিকে আন্দোলনের উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চার নেতা তথা সারা ভারত কৃষক সভা রাজ্য কমিটির সম্পাদক পবিত্র কর। তিনি বলেন সরকার তার প্রতিশ্রুতি না মানার কারণে আজকে এই আন্দোলনে নামতে হয়েছে কৃষকদের। উল্লেখ্য, ২০২০ স্মৃতি উসকে ফের আদালনের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। মূলত তিন দফা দাবি নিয়ে রাজধানী অভিমুখে এই মিছিল। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা এবং সি আই টি ইউ -র রাজ্য কমিটির মূল দাবি, আইন এনে সমস্ত রকম ফসলের জন্য নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষি ঋণ মকুব করার এবং স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ কার্যকর করতে হবে।