স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি : আগামী দিনে বাংলা এবং রোমান হরফ দুই ভাবেই যাতে সি.বি.এস.ই এবং টি.বি.এস.ই বোর্ডের ককবরক বই ও প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়। পাশাপাশি প্রত্যেককে যাতে ককবরক বিষয় পড়ানো হয়। তাহলে ককবরক ভাষার লোকের সাথে অন্য ভাষার লোকের সম্পর্ক আরও বেশি সুদৃঢ় হবে। মঙ্গলবার নিজ কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই দাবি উত্থাপন করে বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা। এদিন তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ প্রত্যাহার করলেন বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা।
ককবরক ভাষা পরীক্ষায় রোমান হরফে লেখার দাবিতে ১২ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে জমায়েত হয়েছিল টিএসএফ। সে সময় পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু তখন একজন পুলিশ অফিসার টি.এস.এফ কর্মীকে উগ্রবাদী বলেছিল বলে যে অভিযোগটি তোলা হয়েছিল সেটা নিয়ে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশককে বলা হয়। রাজ্য পুলিশের মহা নির্দেশক বিষয়টি একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক দ্বারা তদন্ত করে জানান দূর থেকে শুনে মনে হয়েছিল যেন উগ্রবাদী বলা হয়েছে, কিন্তু এটা তদন্ত ক্রমে উঠে এসেছে পুলিশ অফিসার উগ্রপন্থী বলেন নি, এক পুলিশ অফিসার বলেছিলেন উপরে পাঠাও। এই ঘটনার ছাড়া পুলিশ কর্মীরা সঠিকভাবেই নিজ দায়িত্ব পালন করেছে। এর জন্য পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। ককবরক ভাষায় রোমান হরফে লেখার দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলন করতে চায়নি।
কিন্তু ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং শিক্ষা দপ্তরের কারণে আন্দোলন করতে হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথমে যেভাবে বুঝানো হয়েছে সেভাবেই তিনি বুঝেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি এদিন নাটক মঞ্চ থেকে বলেন, কিছু কিছু সংবাদ মাধ্যম খবর প্রকাশ করছে – সোমবারের আন্দোলন তিপুরা মথা এবং শাসক দল বিজেপির মধ্যে একটা গেইম। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সেসব সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলতে চান তিপরা মথা কি পাগল? এই ধরনের আন্দোলন করতে গেলে কত মানুষের দরকার হয়, খাবার ও জলের ব্যবস্থা করতে হয় এবং কত টাকা ব্যয় হয় সেটা জানে দল। সাংবাদিককে জ্যোতিষী বন্ধু বলে আসল চেহারা ঢাকতে চাইলেন বিরোধী দলনেতা। এমনটাই গুঞ্জন সকলের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরো বলেন আগামী দিন আরো কি কি হবে সেটা যাতে বলে দেন জ্যোতিষী বন্ধুরা। তবে বিরোধী দলনেতা দাবি করেন আগামী দিন দেখবেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কিভাবে বেকারত্ব সহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্দোলন শুরু হবে। ইতিমধ্যে সরকারকে সেসব বিষয় নিয়ে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হচ্ছে। সরকার দাবি পূরণ না করলে আগামী দিনে সদ্য সমাপ্ত আন্দোলনের মতো আন্দোলনের সম্মুখীন হতে হবে বলে জালাল তিনি।