Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যবিজেপি সরকার থাকলে দেশে আগামী দিন গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সবকিছুই বিপন্ন...

বিজেপি সরকার থাকলে দেশে আগামী দিন গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সবকিছুই বিপন্ন হয়ে যাবে : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ ফেব্রুয়ারি : মোদি সাহেব ভোট না হতে বলছেন তিনিই প্রধানমন্ত্রী হবেন। ৪০০ আসনের অধিক পাবে ভারতীয় জনতা পার্টি। আসলেই কি ব্যাপার স্যাপার এবং কোন কান্ড কীর্তি করছে তিনি বলতে পারবেন! কিন্তু গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে মানুষ সরকার প্রতিষ্ঠিত করার কথা। আর গণতান্ত্রিকভাবে অধিকার প্রয়োগ হলে ক্ষমতাচ্যুত হবেই ভারতীয় জনতা পার্টি।

 কারণ সিংহভাগ মানুষ চাইছে তাদের সরকার থেকে হঠাতে। মানুষ তাদের আর চায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করে এভাবেই একের পর এক কামান দাগলেন সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে। মঙ্গলবার ২১ দফা দাবিকে সামনে রেখে ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশ জুড়ে শিল্প, পরিবহন ধর্মঘট ও গ্রাম ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা ও কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন সমূহ। এই ধর্মঘটকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবার রাজধানীতে মিছিল সংগঠিত করে সিআইটিইউ, সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সহ বামপন্থী সংগঠন। মিছিলের পর এক সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজিত সভায় তিনি আরো বলেন, প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দশ বছর আগে দেশে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু তারা সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এখন আবার মানুষকে নতুন করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে।

তাই মানুষকে সচেতন করার জন্য এই ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে। এই ধর্মঘটের মাধ্যমে সরকারকে হঠাতে শপথ গ্রহণ করতে হবে। না হলে দেশে আগামী দিন গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সবকিছুই বিপন্ন হয়ে যাবে। সরকারের বিরুদ্ধে আরো সমালোচনা করে বলেন, গত ১০ বছরে নয়া উদারনীতিবাদের নামে বিদেশী লগ্নি এনে দেশকে লুটপাট করেছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। ১০ থেকে ১২ টি পরিবার আজ দেশের সম্পদের মালিক। আর দেশের মানুষের আয়, উপার্জন কমছে। তাই শ্রমিক, কৃষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন শুরু করেছে। কারণ তারা উপলব্ধি করছে দেশের শিল্প ধ্বংস করে দিচ্ছে এ সরকার। এবং এ সরকারের নীতিতে দেশে বেকারত্ব জন্ম হচ্ছে ও অভাব অনাহার বাড়ছে। আর কি গুলি যখন রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা চলছে তখন ঐক্য ভাঙ্গার চেষ্টা এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন দুর্বল করার জন্য বিভিন্ন এজেন্সিকে ব্যবহার করছে সরকার। এতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে নাগরিক অধিকার আজ বিপন্ন। পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থার উপর হস্তক্ষেপ করছে সরকার। তাই দেশের ইতিহাস পড়ার জন্য নরেন্দ্র মোদি সরকারকে আহ্বান জানান মানিক দে। তিনি বলেন এদেশের মানুষ হজম করে, এক সময় মাথা আর নত করে না। ঘুরে দাঁড়ায়, রুখে দাঁড়ায়। যারা আগে নীতির পরিবর্তন করেনি তাদেরও ক্ষমতাচ্যুত করেছে দেশবাসী। এইদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত কিষান মোর্চার ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, প্রাক্তন সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্যরা। মিছিলটি এইদিন রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে। সংযুক্ত কিষান মোর্চার ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদক পবিত্র কর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি দেশ ব্যাপী ধর্মঘটের বিষয়ে তুলে ধরেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য