স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ ফেব্রুয়ারি : রিভার বিউটি প্রজেক্ট করতে বটতলা বাঁশ বাজার স্থিত অটো স্ট্যান্ড নাগেরজলা স্ট্যান্ডে স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয় বুধবার। এদিন সকালে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, কমিশনার শৈলেশ কুমার যাদব যান। অটো চালকদের বলেন যেন গাড়ি এ স্থান থেকে নাগেরজলা ভেতরে স্ট্যান্ডে রাখা হয়।
এবং সেখান থেকেই যাত্রী পরিষেবা দিতে হবে। কিন্তু অটো চালকরা মেয়র এবং পুর প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে ক্ষণিকের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি করে অটো স্ট্যান্ডে। একাংশ অটো চালক উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিত্র সাংবাদিকদের হেনস্তা করে একাংশ অটো চালক। যদিও পরবর্তী সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পড়ে নিগমের মেয়র অটো চালকদের সাথে ফের একবার আলোচনা করেন। এবং অটো চালকদের অটো নিয়ে নাগেরজলা স্ট্যান্ডে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই মোতাবেক অটো চালকরা নাগেরজলা স্ট্যান্ডে যায়। নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার জানান স্মার্ট সিটির কাজ চলছে। হাওড়া নদীর দুই পাশ সাজিয়ে তোলা হবে।
তাঁর জন্য অটো চালকদের নাগেরজলা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাঁশ বাজারও অন্যত্র সরানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। বাঁশ বাজারের জন্য জায়গাও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে উচ্চ আদালতে একটি মামলা বিচারাধিন রয়েছে। উচ্চ আদালত কি নির্দেশ দেয় তা দেখার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে স্মার্ট সিটির কাজ চলতে থাকবে। অটোচালকদের বক্তব্য নাগেরজলা স্ট্যান্ডের ভেতর তাদের বিকল্প স্ট্যান্ড করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নাগেরজলার ভেতরে পায়ে হেঁটে গিয়ে কোন যাত্রী গাড়িতে উঠবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তারা। কারণ বাঁশ বাজারে চারটি স্ট্যান্ডের অটো দাঁড়ায়। নাগেরজলা থেকে ভায়া টি এম সি, আমতলী, কাঠালতলী, ক্যাম্পের বাজার পরিষেবা দেওয়া হতো। মানুষ শহরে বিভিন্ন স্থান থেকে জওহর ব্রিজ এলাকায় নেমে অটো পরিষেবা ২০-৩০ মিটারের মধ্যে পেত। কিন্তু আচমকা নিগমের নির্দেশ পেয়ে তারা হতভম্ব হয়ে পড়েছে। তাই অটোচালকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নিগম কর্তৃপক্ষ যাতে উড়ালপুলের নিচে অটো স্ট্যান্ড করে দেয়।
পরবর্তী সময় সেখানে কয়েকটি অটো রাখার অনুমতি দেন মেয়র। তারপরেও অটোচালকদের দাবি নাগেরজলার ভেতরে স্ট্যান্ড নিয়ে গেলে তাদের আয় অনেকটাই কমে যাবে। পরিষেবায় ব্যাঘাত ঘটবে। বহু যাত্রী অটো দিয়ে বাড়ি যেতে সমস্যায় পড়বে। এবং অটো চালকরা নিগম কর্তৃপক্ষের কাছে জানায় কেন তাদের নোটিশ ছাড়া এভাবে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। তখন নিগম কর্তৃপক্ষ জানায় অটো চালকরা নাকি জেলাশাসকের সাথে সাক্ষাৎ করে এ বিষয়ে স্বাক্ষর দিয়েছে। অটো চালকরা এ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন তারা এ ধরনের কোনো স্বাক্ষর জেলা শাসকের কাছে দেওয়া হয়নি। এবং অটোচালকদের সংগঠনের নেতারা পর্যন্ত এ বিষয়ে অবগত নয়। পরবর্তী সময়ে অটো চালকরা নাগেরজলার ভেতরে স্থানান্তরিত হতে সিদ্ধান্ত নেয়। অটো চালকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে এটা নাকি তাদের পেটে লাথি মারার মতো ঘটনা। অটো স্ট্যান্ড স্থানান্তরিত হওয়ার আভাস পেয়ে অটো চালকরা কিছুদিন পূর্বে পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের সাথে দেখা করেছিলেন। কিন্তু তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল এ বিষয়টি মেয়র দেখবেন। কিন্তু আজ যখন মেয়রের সাথে কথা বলেছেন তখন মেয়র আশ্বস্ত করেছেন আগামী ১৫ দিন নাগেরজলা স্ট্যান্ডের ভেতর থেকে যাত্রী পরিষেবা দিয়ে দেখার জন্য। না হলে অন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান মেয়র। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন অটোচালকরা। এদিকে রাজধানীর হারাধন সংঘ রাস্তার পাশে ৩ টি খাবারের স্টল মঙ্গলবার রাতে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। নিগমের কর্মীরা জানান, স্মার্ট সিটি করতে স্টলগুলি অন্যথায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।