স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৫ ফেব্রুয়ারি : ২০২২-২৩ -এর কেন্দ্রীয় বাজেট’কে পরকালের বাজেট বলে কটাক্ষ করলেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। এবং এ বাজেটে আদিবাসী ও তপশিলি অংশের মানুষের জন্য বঞ্চনার বাজেট বলে বাতিলের দাবি তুলে বামেরা। দেশের আদিবাসী ও দলিত জনসংখ্যা আনুপাতিক হারে অর্থ বরাদ্দ করতে হবে, এস টি এবং এস সি সাবপ্লান পূর্ণ গঠন করতে হবে, নিয়োগ ও প্রমোশনে সংবিধানের ৯ ম তপশিল মোতাবেক সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা ও সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করার দাবিতে মঙ্গলবার আদিবাসী অধিকার রাষ্ট্রীয় মঞ্চ এবং দলিত শোষণ মুক্তি মোর্চা পশ্চিম ত্রিপুরার পক্ষ থেকে একটি মিছিল সংঘটিত হয় আগরতলা শহরে।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা উপজাতি গণমুক্তি পরিষদের সভাপতি জিতেন্দ্র চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রাধাচরণ দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে সিটি সেন্টারের সামনে এসে বিক্ষোভ-সমাবেশ সংগঠিত করে। বিক্ষোভ সমাবেশে জিতেন্দ্র চৌধুরী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, জনবিরোধী এবং তপশিলি অংশে মানুষের বিরুদ্ধে বাজেট পেশ করেছে সরকার। এই বাজেটে স্পষ্ট করা হয়েছে আরো কিভাবে গরিব মানুষের উপর বোঝা চাপানো যায় ও দেশের সম্পদ পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দেওয়া যায় সে দিকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। দেশের আদিবাসী এবং তপশিলি অংশের জনসংখ্যা অনুপাতে বরাদ্দ রাখা হয়নি। কিন্তু বাজেটে তাদের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। এটা অন্যায় আবদার নয়। আকাশ থেকে পড়ে নি এই আবদার। এটি সংবিধানের নির্মাতা ডঃ বি আর আম্বেদকর বলে গেছেন সংবিধানে। তপশিলিদের আত্ম সামাজিক দিকে বৈষম্য মুছতে বরাদ্দ রাখার জন্য বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকুরী সবদিক থেকেই তাদের জন্য সুবিধা রাখতে হবে। সর্বভারতীয় কংগ্রেস পরবর্তী সময় এস টি সাপ্লান্ট নিয়ে আসে। কিন্তু বর্তমান সরকার আসার পর নীতি আয়োগ গঠন করে এস টি সাপ্লান্ট ভেঙে দেওয়া হয়। ফলে বাজেটে সমাজে পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের অধিকার নেই বলে চলে। ২০ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি বঞ্চনার শিকার হয়েছে বাজেটে আদিবাসীরা। ৭ লক্ষ কোটি টাকা তপশিলি জন্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ফলে তাদের কৃষি শিক্ষা স্বাস্থ্য সহ আদিবাসী এলাকার উন্নয়নে ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাবে। এতে আরও বড় বৈষম্য সৃষ্টি হবে বলে জানান তিনি। ২০৪৭ জন্য এ বাজেট বলে জানাচ্ছেন অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন। এ বাজেট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। কারণ এটি তাদের পরকালের বাজেট বলে কটাক্ষ করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। এবং চাকুরি ক্ষেত্রে শূন্যপদ পূরণে ও প্রমোশনে সংরক্ষণের ব্যবস্থা আনতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড বলে রাজ্যের আদিবাসীদের জন্য মায়াকান্না করছে অনেকে। তারা বলছে থানসা হতে। সিপিআইএম থানসা বিরোধী নয়। কিন্তু গ্রেটার তিপরাল্যান্ড আর গোল্ডেনল্যান্ড যাই বলুন, বাজেট যে বঞ্চনা আদিবাসীদের হয়েছে, তা নিয়ে তাদের কোন আওয়াজ নেই কেন। যদি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে তিপরাল্যান্ড আর গোল্ডেনল্যান্ড দিয়ে কি হবে। কেন্দ্রীয় সরকার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।