Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যবিজেপি -কে পুনরায় বিশ্বাস করলে দেশবাসী প্রতারিত হবে : মানিক

বিজেপি -কে পুনরায় বিশ্বাস করলে দেশবাসী প্রতারিত হবে : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ ফেব্রুয়ারি : ২০১৮ নির্বাচনের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সহ যারাই দিল্লি থেকে বিজেপি -র হয়ে ভোটের আগে রাজ্যে এসেছিলেন তারা কেউই বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও তুলতে পারে নি। কিন্তু ২০২৩ নির্বাচনের সময় রাজ্যে এসে অভিযোগ শুনেও চুপ ছিলেন তারা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে কেরালায় বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকারের উপর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আক্রমণ এবং দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর উপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত গণ অবস্থানে এই কথা বলেন পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। রাজ্যে মানুষের আয় উপার্জন সবকিছুই বন্ধ হয়ে আছে। রেগার মজুরি বৃদ্ধি হচ্ছে না, সঠিক সময় মত রেগার মজুরি পায় না শ্রমিকরা, আশা কর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও মিড ডে মিল কর্মীরাও মজুরি পাচ্ছে না। এদিকে বিশ্বাসঘাতক তিপ্রা মথা বিজেপি -র বন্নচূড়া হয়ে একই অবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে এডিসি -তে।

 আবার মুখে মুখে জনজাতিদের বন্ধু সাজছে তারা। তাই বামেরা প্রতিনিয়ত দাবী করছে মন্ডলের লুট বন্ধ করে কর্মচারীদের বেতন বাড়ানোর জন্য। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা এবং ১৫ দিনের মধ্যে মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার। কারণ এইগুলি সঠিকভাবে মানুষ না পেলে গ্রামের মানুষ টাকা কোথা থেকে পাবে বলে প্রশ্ন তোলেন মানিক সরকার। তিনি বলেন এই পরিস্থিতি থেকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। কারণ এ সরকার আবার ক্ষমতায় আসলে জিনিসপত্রের দাম কমবে, বেকারদের চাকরি হবে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত হবে এবং টাকা দাম বাড়বে ভাবলে মানুষ ঠকবে। এ প্রসঙ্গে মানিক সরকার আরো বলেন জিবি হাসপাতালে গেলে এখন রোগীর পরিবারকে সিরিঞ্জ এবং সুতা পর্যন্ত কিনে দিতে হচ্ছে। রোগীকে এক সপ্তাহের জন্য ভর্তি রেখে কি খাবার দেবে সেই চিন্তায় রোগীকে ভর্তি পর্যন্ত করানো হচ্ছে না জিবি হাসপাতালে। এগুলি কেন্দ্রের সরকারের নীতির জন্য সৃষ্টি হয়েছে।

 তাই এই সরকারের নীতির পরিবর্তন হবে ভাবলে মানুষ প্রতারিত হবে। এর জন্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে লড়াই করতে হবে। তবে এ লড়াই যাতে বেশি দূর এগিয়ে না যেতে পারে তার জন্য এ সরকার চেষ্টা করছে ধর্মীয় বিষয়ে মানুষকে বিভক্ত করার। পাশাপাশি গণতন্ত্র ও সংসদীয় ব্যবস্থার উপর আক্রমণ করছে। বর্তমানে পার্লামেন্ট অধিবেশনে ১৪৬ জন সাংসদকে বহিষ্কার করে দিয়ে ১৬ টি কালো আইন পাস করে দিয়েছে। যেগুলি পাস করা হয়েছে সেগুলি সাধারণ মানুষের গণতন্ত্র হরণ করবে এবং প্রতিবাদী কন্ঠ স্তব্ধ করবে। সুতরাং ব্রিটিশদের হার মানিয়ে কালো আইনগুলি পাস করে নিয়েছে বলে সরকারকে কাঠ গড়ায় তুলে ধরেন মানিক সরকার। তাই আন্দোলন না করলে দেশকে বাঁচানো যাবে না। সম্প্রতি যে বাজেট অধিবেশন হয়েছে তাতে জনগণের জন্য কিছুই উল্লেখ নেই। শুধুমাত্র কর্পোরেটদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য বাজেট পেশ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। শ্রী সরকার আরো বলেন, বর্তমানে সমস্যা সমাধান না করে ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শততম বছরের উন্নয়নের কথা বলছে এই সরকার। কিন্তু এই বিজেপি স্বাধীনতা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। ব্রিটিশদের পায়ে তেল মেখেছিল। এবং ছুরি মেরেছিল তারা। শুধু তাই নয় সংবিধান তৈরিতে তারা বিরোধিতা করে বুকে পিঠে ছুরি মেরেছে। এখন আবার নতুন করে সংবিধান তৈরি করার চেষ্টা করছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। এমনটাই বললেন শ্রী সরকার। আয়োজিত সভায় এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর সহ অন্যান্যরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য