Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যচিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনার আওতায় আনা হবে ৪ লক্ষ ১৫ হাজার...

চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনার আওতায় আনা হবে ৪ লক্ষ ১৫ হাজার পরিবারকে : সুশান্ত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ ফেব্রুয়ারি : রাজ্য সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা। যা সারা রাজ্যের প্রায় চার লক্ষ পনের হাজার পরিবারকে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনবে। দেশের ২৬ হাজার হাসপাতালে বছরে ৫ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা পাবে রাজ্যের মানুষ।

ত্রিপুরা রাজ্যে যে সাড়ে চার লক্ষ পরিবার আয়ুষ্মান কার্ডের আওতায় রয়েছে তারা চিফ মিনিস্টার জন আরোগ্য যোজনা বাইরে থাকবে। সরকার লক্ষ্য রাজ্যের ৪ লক্ষ ১৫ হাজার পরিবারকে এই সুবিধা প্রদান করার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গ্রহণ করা এই সিদ্ধান্তের সম্পর্কে বিস্তারিত জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজ্যের ৭০ হাজার গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে কর্মরত কর্মচারীদেরও নয়া স্বাস্থ্য বীমার আওতায় রাখা হবে। কিন্তু কর্মচারীরা বছরে ছয় হাজার টাকা করে মেডিকেল এলাউন্স পেয়ে থাকে। যদি এই বিমা আওতায় সরকারি কর্মচারীরা আসতে চায় তাহলে তারা মেডিকেল এলাউন্স গ্রহণ করতে পারবে না। মন্ত্রী আরো বলেন, শুধু সরকারি কর্মচারীদের নয়, এই সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও।

কিন্তু শ্রম দপ্তরের আওতাধীন ১০ হাজার শ্রমিক বীমা আওতায় রয়েছে তারা মুখ্যমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনার আওতায় আসতে পারবে না। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১০৪ কোটি টাকা। আরো বলেন, প্রকল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হলো রোগীরা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবে তারা ১৫ দিনের ঔষধ বিনামূল্যে পাবে। দেশের ২৬ হাজার হাসপাতালে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যায়। সেসব হাসপাতালে এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। খুব সহসাই মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর হাত ধরে এই প্রকল্পের সূচনা হবে বলে জানান মন্ত্রী। আর বলেন, এটা সরকারের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। মন্ত্রী সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়েছে, ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দপ্তরের অধীন জুনিয়র ফিজিক্যাল ইনস্ট্রাক্টর ২২৬ জন নিয়োগ করা হবে।

অর্থ দপ্তর এর অনুমোদন দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর খুব দ্রুত এর উদ্যোগে নেবে। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী আরেকটি সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়ে বলেন, কাছাড় ক্যান্সার হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টার শিলচর আসাম রাজ্য সরকারের কাছে ক্যান্সার ইনস্টিটিউট স্থাপন করার জন্য ১৫ একর জমি চেয়েছিল। সরকার আন্তরিক হয়ে উত্তর জেলায় ১৫ একর জমি দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলে জানান।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য