স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ ফেব্রুয়ারি : একটা সময় ছিল যখন ত্রিপুরা রাজ্যে স্কুল গুলিতে রাজনীতির পাঠ বেশি শেখানো হতো। মিছিল মিটিং -এর নাম করে ছাত্রছাত্রীদের স্কুল থেকে বের করে নিয়ে গিয়ে অমানবিক অত্যাচার করা হতো। এবং তাদের যে মিছিল মিটিংয়ে লম্বা লাইন করানো হতো। অভিভাবকদের কাছ থেকে এই অভিযোগগুলি প্রায়ই উঠে আসত। কিন্তু বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এগুলি থেকে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
শনিবার মজলিশপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত রাণীরবাজার বিদ্যামন্দির উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক মেগা রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়। শিবিরের আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। মন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, জিরানিয়া অঞ্চলের দুটি স্কুলকে বিদ্যাজ্যোতির আওতায় আনা হয়েছে। জিরানিয়া আরও স্কুলকে যাতে আগামী দিনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সরকার সরাসরি অর্থ প্রদানের মাধ্যমে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন রাজ্যের সাড়ে চার হাজার স্কুলের জন্য ২৭ থেকে ২৮ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন। তিনি বলেন রাজ্যে ১০,৩২৩ -এর জন্য সরকার মানবিক হলেও সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশের কারণে সরকার মানবিক হলেও কিছু করতে পারছে না। কিন্তু তাদের অবস্থা সকলে জানে।
কেন্দ্রীয় সরকারের গাইডলাইন না মেনে চাকরি না দেওয়ায় আজকে তাদের এই ধরনের অবস্থা হয়েছে। শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বক্তব্য রেখে আরো বলেন ভালো শিক্ষক না হলে ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক দিশা দেখানো যায় না। তাই শিক্ষক শিক্ষিকাদের সমাজ গড়ের কারিগর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। রক্তদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রক্তদান শ্রেষ্ঠ উপহার। যা মানুষ মানুষকে না জেনে, না চিনে দিতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে এই রক্তদান সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। আর এদিকে বড় ভূমিকা নিতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এমনটাই জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। পরে তিনি রক্তদান শিবিরটি ঘুরে দেখে রক্তদাতাদের প্রশংসা করেন।