Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যদুর্ঘটনায় আহত রিকশা চালক, ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি ও রিক্সা

দুর্ঘটনায় আহত রিকশা চালক, ক্ষতিগ্রস্থ গাড়ি ও রিক্সা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জানুয়ারি : শহরে ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক পরিষেবা। প্রতিদিন ঘটছে যান দুর্ঘটনা। কুম্ভ নিদ্রা ভাঙছে না প্রশাসনের। এমনটাই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে গত কয়েকদিন ধরে। কারণ শহরে অধিকাংশ রাস্তা গুলি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয়ে থাকে। যার কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকছে সাধারণ মানুষ।

 ব্যতিক্রম ঘটেনি সোমবার। রাজধানীর কৃষ্ণনগর টি.আর.টি.সি সংলগ্ন এলাকায় ঘটে আরো এক দুর্ঘটনা। রাস্তার পাশে সি.এন.জি গ্যাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা একটি ওয়াগনার গাড়ি এবং একটি রিকশাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় হোন্ডা গাড়ি।

ঘটনাস্থলে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রিকশা চালক। সাথে সাথে আহত রিকশা চালককে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে ছুটে আসে পশ্চিম আগরতলা থানা পুলিশ। বিষ্ণু রায় নামে এক গাড়ি চালকের বক্তব্য গাড়িটি রাস্তার ডান পাশে এসে এভাবে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়ি চালকের অঙ্গী ভঙ্গিতে মনে হয়েছে তিনি নেশাগ্রস্ত ছিল। তবে ঘটনায় ওয়াগণার গাড়িটির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি শহরের দুর্ঘটনার হার লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে। একদিকে কিছু মানুষের কান্ডজ্ঞানহীনতার অভাব অপরদিকে ট্রাফিক প্রশাসনের দুর্বলতা।

বিগত দিনে পরিবহন দপ্তর, ট্রাফিক দপ্তর সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা যৌথভাবে বৈঠক করে নানা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেও বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন ঘটে নি। শহরে নো পার্কিং জোনে গাড়ি পার্কিং করে যেমন জ্যাম সৃষ্টি করা হচ্ছে তেমনি বিভিন্ন সিএনজি স্টেশন গুলির সামনেও গাড়ির সারিবদ্ধ লাইন থাকায় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে শহরে নেশাগ্রস্ত যুবকদের গাড়ি ও বাইক নিয়ে দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে। অপরদিকে শহরে মধ্যে দশটা পাঁচটা বেসরকারি স্কুলগুলির বাসের যন্ত্রণায় ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে। মানুষ ট্রাফিক জ্যামের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। নির্দিষ্ট সময়ে যেমন গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছে না, অপর দিকে দুর্ঘটনাও বেড়ে চলেছে। আর ট্রাফিক দপ্তর অভিজ্ঞতাহীন টিএসআর দিয়ে শহরে যানজট আরও বাড়াচ্ছে। সূত্রে খবর, কনস্টেবল লেভেল থেকে শুরু করে বহু আধিকারিক মাঠে ময়দানে দায়িত্ব পালন করতে চাইছে না। তারা অফিসের ভেতর আরাম কেদারায় বসে মাসে মাসে মোটা অংক গুনতে চাইছে। আর তাদের কারণে প্রশাসনিক অন্যান্য কাজও স্লথ গতিতে চলছে বলে খবর।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য