Saturday, July 27, 2024
বাড়িরাজ্যপুলিশের সদর কার্যালয়ের সামনে এসডিপিও -র বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ

পুলিশের সদর কার্যালয়ের সামনে এসডিপিও -র বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জানুয়ারি : সম্প্রতি আমতলীর এস.ডি.পি.ও -র তথাকথিত দাবাংগিরির খবর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এই দাবাং এসডিপিও -র নাম প্রসূন কান্তি ত্রিপুরা। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ কিভাবে করতে হয় সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন। পাশাপাশি অভয়নগর ফাঁড়ির পুলিশ এবং পূর্ব আগরতলা থানার পুলিশ এ দিনের ঘটনা নিয়ে ব্যাপক দাদাগিরিও করেছেন। কিন্তু এর পরিনামে মানুষ যে রুখে দাঁড়াবে সেটা ধারণা ছিল না তথাকথিত দাবাং এসডিপিও এবং থানা বাবুদের। এমনটাই অভিমত খবরা-খবরের সাথে জড়িত একটা মহলের।

কারণ প্রায়ই পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটলে সঠিক সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছায় না। কিন্তু সেদিন রাতের বেলা যখন দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল তখন পুলিশ তাদের পরিবারের লোকদের সাথে কোন ঘটনা ঘটলে কি হয় সেটা ভালো করে স্পষ্ট করে দিতে গাড়ি গাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে দেখে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এই ঘটনার পর পুলিশ ডাক্তার কৌশিক দেবনাথ সহ কয়েকজনকে অভয়নগর পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে আনে। আর তথাকথিত দাবাং পুলিশ অফিসার জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে বসে ডাক্তার তুষার কান্তি দেবনাথের কোনরকম বক্তব্য শুনতে চান নি। এবং নিজের ছেলে মেয়ের দোষ ঢাকতে সেই পক্ষের অভিযোগ শুনতে চায় নি।

 নিরপেক্ষ ভূমিকা না নেওয়ায় এবার এস.ডি.পি.ও -র বরখাস্তের দাবিতে সরব হল রাজধানীর জগৎপুর এলাকাবাসী। সোমবার পশ্চিম জেলা পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে -র কাছে এলাকাবাসী ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এসডিপিও দাদাগিরির বিরুদ্ধে বরখাস্তের দাবি করেন। এর আগে পুলিশের সদর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় জগৎপুর এলাকাবাসী। বিচার প্রার্থী ডাক্তার কৌশিক দেবনাথের পিতা বিনয় দেবনাথের অভিযোগ, সেদিন রাতের বেলা এস.ডি.পি.ও প্রসূন কান্তি ত্রিপুরার মেয়ে এবং ছেলে মদমত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে অন্য একটি গাড়ির সাথে সংঘর্ষ হয়।

তখন জগৎপুর এলাকায় দুই গাড়ি মানুষের মধ্যে ঝামেলা বাঁধলে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ছুটে আসেন ডাক্তার কৌশিক দেবনাথ এবং তার পিতা। তখন দাপুটে এসডিপিও কন্যা এবং সাঙ্গপাঙ্গরা ডাক্তার কৌশিক দেবনাথের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করে। পরে সুকন্যার পিতা এস.ডি.পি সাহেব এসে আবার ডাক্তার কৌশিক দেবনাথকে আটক করে অভয়নগর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে এসে আবার মারধর করে। তারপর কৌশিক দেবনাথ যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাকে তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল নিয়ে যায়। হাসপাতালে গিয়ে পরবর্তী সময় আবারও এস.ডি.পি.ও সহ তার দলবল আক্রমণ চালায় কৌশিক দেবনাথের উপর। তারপর সেখানে সাংবাদিকদের সহযোগিতায় চিকিৎসা হয় আহত ডাক্তার কৌশিক দেবনাথের। তারপর কৌশিক দেবনাথের পিতা যখন এনসিসি থানায় মামলা করে তখন সহকর্মী এবং তার ছেলে মেয়েকে বাঁচাতে পুলিশ সহজ সরল ধারায় মামলা নেয়। যে মামলা গুলি এ ধরনের ঘটনার সাথে যুক্ত নয় বলে দাবি করেন কৌশিকের পিতা। তিনি আরো অভিযোগ করেন, যদি জেলা পুলিশ সুপার এসডিপিও সাহেবকে ইতিমধ্যে বরখাস্ত না করা হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার ধারা কঠোর না করে হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী দ্বারস্থ হবেন। প্রয়োজনে আদালতে পর্যন্ত যাবে বলে জানিয়ে দেন কৌশিকের পিতা। তিনি আরো জানান সিভিল ড্রেসে এইদিন এস.ডি.পি.ও বাবু এ ধরনের খবরদারি গিরি করেছেন। তার জন্য রাজ্যের সুনাম নষ্ট হবে। তবে সকলের মধ্যে একটি প্রশ্ন রাষ্ট্রপতি কালার্স প্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের এই ধরনের ভূমিকা সমাজের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে? সেদিন যদি নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করত তাহলে হয়তো নিজের ছেলেমেয়েকেই সবার আগে জেলে ঢুকাতে হতো তথাকথিত দাবাং অফিসারের। তবে এবার রুখে দাঁড়িয়েছে স্থানীয়রা। এখন দেখার কতটা সুষ্ঠু বিচার হয়। নাকি জল বহুদূর পর্যন্ত গড়ায়?

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য