স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। দলের কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো শ্রেণীহীন শোষণমুক্ত সমাজ গড়ে তোলা। স্বাধীনতা আন্দোলনের অসম্পূর্ণ যে কাজ রয়েছে সেই কাজ পূর্ণ না করে মূল লক্ষ্যে উপনীত হওয়া চেষ্টা করলে ভুল হবে। সে দিকে গুরুত্ব দিয়ে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এবং এর জন্য নতুন ভাবে সংগ্রামে গড়ে তুলতে হবে। সোমবার ভানু ঘোষ স্মৃতি ভবনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ২৩ তম রাজ্য সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটি গঠনের সভায় সোমবার এমনটাই বলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তিনি বলেন, যে সমস্যা স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে পূরণ হওয়ার কথা ছিল তা স্বাধীনতা মাধ্যমে আসে নি।
শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা এসেছে। কিন্তু মানুষের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জিত হয় নি। এবং কৃষকদের সমস্যা সমাধান হয়নি। কৃষকদের সমস্যার সমাধান না করা পর্যন্ত মূল লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না। এর জন্য সমাজের নিপীড়িত শোষিত মানুষকে বের করে নিয়ে আসতে হবে। এতে বাস্তবের সাফল্য আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করে মানিক সরকার। শোষকদের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। আগামীদিনে দলের রণকৌশল তৈরি করতে হবে। জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দেশে চলছে। জাতীয় স্তরে দেখলে চলবে না। রাজ্যে দেখতে হবে জনগণের মধ্যে শক্তি বাড়ল না কমলে। যাদের বিরুদ্ধে লড়াই হচ্ছে তাতে জনগণ থেকে কতটা বিচ্ছিন্ন করা গেছে সেটাই হবে দলের কর্মী-সমর্থকদের মূল কাজ। দুর্বলতা যদি ছোট করে দেখে, সাফল্য বড় করে দেখলে চলবে না। কারণ এটা মার্কসবাদীদের নীতি নয়। কাজ করতে গেলে দুর্বলতা থাকবে। ত্রুটি বিচ্যুতি হবে। এগুলি চাপিয়ে রাখতে বা লুকিয়ে রাখলে চলবে না। আর এর জন্য সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আত্মসমীক্ষা করা হবে। সব কিছু বিশ্লেষণ করে নতুন করে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে কর্মী-সমর্থকদের। রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণের সাথে দলকে জড়াতে হবে। মানুষকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতে হবে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে জানান মানিক সরকার।
আগামী ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য সম্মেলনে দেশের এবং রাজ্যের জটিল পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে। পরিস্থিতি থেকে কিভাবে উত্তোরন হওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানান সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জীতেন্দ্র চৌধুরী। দলের দুর্বলতা নিয়ে আগামী দিনের কর্মসূচি ও সুনির্দিষ্ট রাস্তা নিয়ে কথা বলা হবে। দেশের সরকার কর্পোরেটদের সেবা করতে চাইছে। এর জন্য সাম্প্রদায়িক শক্তি ব্যবহার করতে চাইছে। এবং সম্পদ পুঁজিপতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। জনগণের অর্জিত অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার টিকে থাকতে চাইছে। তাই সম্মেলনে জনগণের উপর যে প্রভাব পড়ছে তা নিয়ে আলোচনা করে মুক্তি পথ খুঁজে বের করা হবে বলে জানান তিনি। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম রাজ্য কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।