স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ ফেব্রুয়ারি : শুক্রবার ভোররাতে লঙ্কামুড়া এলাকা থেকে চন্দন হালদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পশ্চিম আগরতলা থানার পুলিশ ও রামনগর আউটপোস্টের পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে চন্দন হালদারের বাড়ি থেকে আনুমানিক সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা, প্রচুর পরিমাণে ফেন্সিডিল ও কফসিরাপ উদ্ধার করা হয়। বাড়ির মালিককে আটক করে পুলিশ। আটক করা নেশা সামগ্রীর বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের সাথে আরও কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অভিযুক্ত চন্দন হালদারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। এই চক্রের বাকীদের শীঘ্রই জালে তোলা হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এন ডি পি এস ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু করা হবে বলে জানান এডিশনাল এসপি অনির্বাণ দাস ও প্রীয়া মাধুরী। তবে এলাকায় নেশার রমরমা চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। লঙ্কামুড়ায় ২৬ জানুয়ারিতে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা ছিল সেই যুবক নেশায় আসক্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে। এলাকায় নেশা তীব্র আকার ধারণ করেছে। পুলিশের তেমন কোনো সাফল্য এলাকায় নেই বলা চলে। এলাকাবাসীর দাবি এ ধরনের অভিযান শুরু লোকদেখানো করলে চলবে না। প্রতিনিয়ত এই ধরনের অভিযান চালানোর দাবি উঠেছে। কারণ রাজ্য সরকারও নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার ডাক দিয়েছে। কিন্তু কিছু নেশা কারবারি অঙ্গুলিহেলনে রাজ্যে যুবসমাজ নেশার কবলে নিজের জীবন ধুলিস্যাৎ করে দিচ্ছে। তা বাস্তবে কতটা পুলিশ করে দেখাতে পারবে সেটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং লোক দেখানো অভিযান করে সাংবাদিকদের ডেকে ব্রিফিং পুলিশ আধিকারিকের যদিও পুরনো অভ্যাস বলে মনে করছে আবার অনেকে। কিন্তু বাস্তবে কতটা নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়তে সহায়তা করছে পুলিশ সেটাই এখন সবচেয়ে বড় বিষয়।