স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ ডিসেম্বর : বিরোধী দল গুলোর তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের ডাকে সমাবেশ এবং রেলি হতে চলেছে আগরতলা শহরের বুকে। তবে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাক্তার মানিক সাহার অনুরোধে এই মিছিল এবং সমাবেশ ২৫শে ডিসেম্বরের পরিবর্তে ২৬ শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ খবর জানানো হয় জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের তরফে। উল্লেখ্য জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের তরফে আগামী ২৫ ডিসেম্বর জনজাতি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জনজাতিদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে রাজধানী আগরতলা শহরের বুকে মিছিল এবং সমাবেশ করার ডাক দেওয়া হয়েছিল। জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের এই দাবীকে অশংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক বলে ব্যাখ্যা দিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছিল রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। এই মিছিল এবং সমাবেশ ২৫ শে ডিসেম্বর যাতে না করা হয় এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনুমতি না দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা। কিন্তু বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে আগামী ২৫শে ডিসেম্বরের পরিবর্তে তারা মিছিল এবং সমাবেশ অনুষ্ঠিত করবে ২৬ শে ডিসেম্বর। সাংবাদিক সম্মেলনে তাদের তরফে দাবী করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ অনুরোধেই এই জনসভা এবং মিছিলের দিনক্ষণ তারা পরিবর্তন করেছে। বাকি সময় স্থান এবং অন্যান্য কর্মসূচি অপরিবর্তিত থাকবে।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই নাকি তারা ২৬ ডিসেম্বর এই মিছিল এবং সমাবেশের আয়োজন করতে চলেছে। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার এর বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে এই মিছিল এবং সমাবেশে। তবে মজার বিষয়টা হলো এদিন জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে যিনি প্রেস ব্রিফিং করেছেন তাকে মাত্র দুদিন আগেই দেখা গেছে ত্রিপুর ক্ষত্রিয় সমাজের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেস ব্রিফিং করতে। অর্থাৎ পরিষ্কার জনজাতি খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জনজাতিদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার দাবিতে জনজাতি সুরক্ষা মন্ত্রের তরফে যে মিছিল এবং সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে তাকে সমর্থন করছে একাধিক জনজাতি সংগঠন। তবে রাজ্যের বিরোধী দল গুলো শুরু থেকেই এই মিছিল এবং সমাবেশের তীব্র আপত্তি জানিয়ে এসেছিল। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তরফে এও দাবি করা হয়েছিল জনজাতি সুরক্ষা মঞ্চের ডাক দেওয়া এই মিছিল এবং সমাবেশকে সমর্থন করছে শাসক দল। কারণ শাসকদলের একাংশ বড় মাপের নেতা পর্দার আড়ালে না থাকলে এক বিশাল মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা সম্ভব হবে না। আর এই বিষয়টি সম্পর্কে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের প্রক্রিয়া ব্যাপ্ত করেছে সাংবাদিক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক জোরালো ভাবেই।