স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ ডিসেম্বর : প্রত্যেক সরকারি কর্মচারী তাঁদের কর্ম সংস্কৃতিতে ফাঁকি দিচ্ছে বিষয়টা এরকম নয়। কিন্তু এক দুজন রয়েছেন যারা আসলে কাজই করতে চান না। অর্থাৎ মানুষের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতাই নেই। এর মূল কারণ হচ্ছে একটা সময়ে যাদেরকে নিয়োগ করা হয়েছিল তারা সকলেই কিছু নির্দিষ্ট মতাদর্শে বিশ্বাস করত।
যার কারনে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কাজ না করে তাদেরকে বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া। বৃহস্পতিবার আগরতলার প্রজ্ঞা ভবনে চাকরি প্রাপকদের হাতে সরকারি নিযুক্তিপত্র তুলে দিতে গিয়ে এমনই অভিমত ব্যক্ত করেন রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস। এই অভিমত ব্যক্ত করার পাশাপাশি তিনি এও বলেন এভাবে প্রক্রিয়া দিনের পর দিন চলতে থাকলে কোনভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। প্রত্যেক অর্থবছরের জন্য সরকার কিছু তহবিল গঠন করে বিভিন্ন দপ্তরে। প্রতিটি অর্থ বছরে তহবিলে বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে হবে। এটাই সরকারি নিয়ম। পরের বছর আরো বেশি পরিমাণে টাকা দেওয়া হয় খরচ করার জন্য সরকারি তরফে বিভিন্ন দপ্তরকে। কিন্তু বছরের শেষে দেখা যায় কিছু সংখ্যক সরকারি কর্মচারীদের জন্য সাধারণ মানুষের খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ পুরোপুরি ভাবে খরচ না হয়ে অব্যয়িত থেকে যায়। এই সমস্যা হচ্ছে একমাত্র সেই সমস্ত কর্মচারীদের সাধারণ মানুষ এবং সরকারের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকার ফলে। যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্যের মানুষের প্রতি এবং রাজ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
অনেক সময় দেখা যায় সরকারি দপ্তরে একাধিক সরকারি কর্মচারীর কাজ করার আগ্রহ থাকলেও যে সমস্ত কর্মচারীরা কাজে ফাঁকি দেন তাদের কারণে কর্মসচল কর্মচারীরা কাজ করতে চান না। কারণ এটাও ঠিক একজন কাজ করবে আরেকজন বসে থাকবে এ কেমন কথা। পুরো প্রকিয়াটাই হচ্ছে একটা টিম ওয়ার্ক। প্রত্যেকে একসাথে কাজ করলে কাজের গতি ত্বরান্বিত হয়। সরকারি কাজের ক্ষেত্রে একেবারে নিচের তলা থেকে উপর তলা পর্যন্ত প্রত্যেকের গুরুত্ব সমান। কারণ পুরো প্রক্রিয়াটাই হচ্ছে একটা চেইন সিস্টেম। তিনি মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন তার দপ্তর গুলোকে সক্রিয় করে রাজ্যের মানুষকে যাতে সুফল পৌঁছে দেওয়া যায়। তিনি প্রতিদিন কাজ করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন রাজ্যের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হলে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে। একইসঙ্গে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে কৃষি ও উদ্যান দপ্তর। করুণা মহামারীর সময়ে দেখা গেছে বহু দেশ তার দেশের নাগরিকদের সঠিকভাবে সেবা সুশ্রূষা করতে পারেনি। কিন্তু এমনটা হয়নি ভারতে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাওয়ার দিয়েছেন। বিনামূল্যে ভেকসিন দেওয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলংকা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। পাকিস্তানের অবস্থা বেহাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। করুণ দশায় পরিণত হয়েছিল বাংলাদেশ এবং মায়ানমারেও। করোণা মহামারী বহু দেশ সহ্য করতে না পারলেও শক্তিধর দেশ হওয়ার সুবাদে ভারত এখনো মজবুত অবস্থানে রয়েছে। এই মজবুত অবস্থান ধরে রাখতে হবে দেশ এবং রাজ্যকে।