Friday, February 7, 2025
বাড়িরাজ্যপঞ্চভূতে বিলীন ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিধায়ক রমেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথ

পঞ্চভূতে বিলীন ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ বিধায়ক রমেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথ

আগরতলা, ২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রয়াত বিধায়ক রমেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথ। গতকাল মঙ্গলবার তিনি প্রয়াত হয়েছিলেন। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। কলকাতা থেকে আজ সকালে তাঁর মরদেহ এমবিবি বিমানবন্দরে আসার পর বিধানসভা এবং সচিবালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সিপিএম-এর পার্টি অফিস এবং তার পর জয়নগরে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মরদেহ। এদিন তাঁকে সকল অংশের মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেছেন।

ত্রিপুরা বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রয়াত বিধায়ক রমেন্দ্রচন্দ্র দেবনাথের মরদেহ আজ সকালের বিমানে রাজ্যে আনা হয়েছে। তাঁর মরদেহ ত্রিপুরা বিধানসভা ভবনে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁকে প্রথমে শোক-সেলামি দেওয়া হয়। তার পর প্রাক্তন অধ্যক্ষের মরদেহে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী ও উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার, বিধায়ক সুদীপ রায়বর্মণ, বিধায়ক ভানুলাল সাহা, বিধায়ক রতন ভৌমিক, বিধায়ক সহিদ চৌধুরী, বিধানসভার সচিব ও অতিরিক্ত সচিব সহ বিধানসভার কর্মচারীবৃন্দ। পরে তাঁর মরদেহ সচিবালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, সমবায় মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, মুখ্যসচিব কুমার অলক, সচিব টিকে চাকমা এবং সচিবালয়ের কর্মীবৃন্দ।

এর পর তাঁর মরদেহ মেলারমাঠে সিপিএম পার্টি অফিসে নেওয়া হয়। সেখানে পার্টির সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তার পর তাঁর মরদেহ জয়নগরে অবস্থিত নিজস্ব বাসভবনে নেওয়া হয়। বাড়িতে নেওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-পরিজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রতিবেশীরাও শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। কারণ, প্রয়াত এই সিপিএম নেতার সাথে সকলের মধুর সম্পর্ক ছিল।

প্রসঙ্গত, তিনি ১৯৯৩ সালে যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রথম বিজয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ত্রিপুরা বিধানসভায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৮ সালে বামফ্রন্ট পরাজিত হলেও যুবরাজনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। কিডনি খারাপ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়ালাইসিসের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কলকাতায় চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ তিনি প্রয়াত হয়েছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য