স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ ডিসেম্বর : গত নভেম্বর মাসের ঝড়-বৃষ্টিতে রাজ্যের চাষীদের উৎপাদিত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো কোন চাষী ক্ষতিপূরণ পায়নি। ডিসেম্বর মাসে পূণরায় ঝড়-বৃষ্টিতে ধান সহ শাক-সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
চাষীরা এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ফলে চাষীরা পরবর্তী চাষের কোন প্রস্তুতি নিতে পারছে না। এমনটাই অভিযোগ তুলে এ আই কে কে এম এস -এর উদ্যোগে সোমবার রাজ্যের কৃষি অধিকর্তার নিকট সাত দফা দাবিতে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সুব্রত চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
তিনি আরো বলেন, অকাল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যের চাষীরা। একদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, অন্যদিকে বাজারে চাষীদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম নেই। ফলে বিভিন্ন সংস্থা ও মহাজনের ঋণের কবলে পড়ে চাষীরা দিশেহারা। বহুজাতিক সংস্থার বীজ কিনে সঠিক ফসল না ফলায় বহু কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন। সার, বীজ ও কীটনাশক ঔষধের মূল্যবৃদ্ধি, সরকারী উদ্যোগে এসবের সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পরিমানে সরবরাহ না থাকার ফলে এসবের ব্যাপক কালোবাজারী চাষের সময়ে চাষীদের বিপাকে ফেলছে। আরো বলেন, জল সেচের অভাবে সমস্ত চাষযোগ্য জমিতে চাষ করতে পারছে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না পেয়ে চাষীরা আরও ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। ফসল সংগ্রহের সময়ে বাজারদর কমে যায়। সরকারী উদ্যোগে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ক্রয় করার গ্যারান্টি না থাকায় কম দামেই চাষীরা ফসল বিক্রি করতে বাধ্য হয় বলে জানান তিনি। তারা এদিন দাবি তুলে কিছুদিন মুকুব করা এবং জমিতে জল সেঁচের ব্যবস্থা করার জন্য।