Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্য২০২২-২৩ -এর সাধারণ বাজেট পেশে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

২০২২-২৩ -এর সাধারণ বাজেট পেশে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ ফেব্রুয়ারি : মঙ্গলবার ২০২২-২৩ -এর সাধারণ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমণ। এ জনকল্যাণমুখী বাজেট। মঙ্গলবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি এই বাজেট সাধারন জনগণের জন্য। গ্রামীন অর্থনীতি ও সাধারন জনগণকে স্ব শক্তি করণ এই বাজেটের মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সড়কের জন্য ২৫ হাজার কিলোমিটার সম্প্রসারণ ধরা আছে বাজেটে।

 ভারত বর্ষ ব্যাপী ২৫ হাজার কিলোমিটার ব্যপী রাস্তা নির্মাণ হবে। তার থেকে বাদ যাবেনা ত্রিপুরা। উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য গুলিকে পৃথক ভাবে সাহায্য করার জন্য ১৫ শ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পি এম গতি শক্তি প্রধানর স্বপ্নের প্রকল্পে। ১৬ টি দপ্তর নিয়ে এই বাজেটে  পি এম গতি শক্তি প্রকল্প গুলিতে সরাসরি নজর রাখবে। এই পি এম গতি শক্তি  উন্নয়নের মাপকাঠিকে আরও বেশী প্রবাহমান করবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। চারশ বন্দে ভারত ট্রেন চালু করা হবে। ওঙ্গনওয়ারী কেন্দ্র উন্নীত করনের জন্য বড় মাত্রায় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ২ লক্ষ ওঙ্গনওয়ারীকে দেশব্যাপী উন্নিত করা হবে। আত্ম নির্ভর ভারতের মাধ্যমে ১৬ লক্ষ রোজগারের সৃজন। অন্যদিকে মেইক ইন ইন্ডিয়ার মাধ্যমে ৬০ লক্ষ রোজগার সৃজন হবে। রসায়ন ভিত্তিক কৃষি পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে কৃষি ব্যবস্থার প্রয়োগের উপর বাজেটে জোর দেওয়া হয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনা প্রকল্পের সময় বৃদ্ধি করা হবে। ১ কোটি গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হবে। ৭৫ টি ডিজিটাল ব্যাঙ্কিং ইউনিট শুরু করা হবে। জা নতুন ভারতের জন্য বড় পদক্ষেপ। দ্রোন বানানোর জন্য স্টার্ট আপকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। আর্থিক প্রবৃদ্ধি ৯.২ শতাংশ আগামী অর্থ বছরে থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এটা সব চাইতে বড় বিষয়। প্রতিরক্ষা খাতের ৬৫ শতাংশ রাখা হয়েছে নিজস্ব কোম্পানী গুলির জন্য। ৭.৫৪ কোটি টাকা ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার রাখা হয়েছে বাজেটে।

৩৫ শতাংশ এই ক্ষেত্রে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ পর্যন্ত আর বি আই –র  মাধ্যমে ডিজিটাল কারেন্সির দিকে যাওয়া বাজেটে পরিলক্ষিত হয়েছে। দিব্যাংনদের জন্য কর ছার দেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আয় করের উপর কোন পরিবর্তন ঘটানো হয়নি বলে জানান তিনি। মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বাজেট প্রস্তুত করার আগে থেকেই সেয়ার বাজারে ছিল উর্ধমুখী। এগুলি প্রমান করে এই বাজেট স্থায়িত্ব বাজেট। কৃষক , পরিকাঠামোর উন্নয়ন মুখী, জন জাতিদের বাজেট। সাধারন জনগণ , নতুন প্রজন্ম ও কর্মসংস্থান , গ্রোথ রেট বৃদ্ধির বাজেট। এই বাজেট ডিজিটাইলেজেশনের দিকে নিয়ে যাওয়ার বাজেট। এই বাজেট প্রশংসনীয়। আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত দিশা রেখা কি হবে তা এই বাজেটে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই বাজেট পেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। পরিকাঠামোর উন্নয়ন একটা রাজ্যের জিডিপি বাড়ায়। ত্রিপুরা বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে জাতীয় সড়ক নিয়ে। জাতীয় ও রেলের জন্য বাজেটে বড় মাত্রায় রাশি রাখা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে রাজ্যের ২৫ বছরের রুপরেখায় পরিকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে কিছু বিকল্প রেল লাইন তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। এইমস –র জন্য লেখা হয়েছে। জিবি বা টি এম সি-কে করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এই বাজেটের মাধ্যমে ত্রিপুরা অনেকাংশে লাভবান হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার বাজেট প্রসঙ্গে দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য