স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ নভেম্বর : আগরতলা শহর জুড়ে মশার তাণ্ডবে নাজেহাল নিগম এলাকার মানুষ। এবার নিগম কর্তৃপক্ষের নিদ্রা ভাঙতে সোচ্চার হয়েছে বামেরা। প্রতিবছর শীতের মরশুম শুরু হওয়ার পর থেকেই মশার উপদ্রুপ ক্রমশ বেড়ে যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয় নি।
দিনের আলো শেষ হয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই মশার দল মানুষের ঘরে প্রবেশ করছে। বাড়িঘর বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সব জায়গায় সন্ধ্যার পর মশার বাড়বাড়ান্ত মারাত্মক হয়ে উঠছে। বহু জায়গায় নালা ও পরিষ্কার না হওয়ার কারণে ময়লা জল আটকে রয়েছে। আবর্জনার স্তুপ জমে থাকছে। এসব জায়গায় মশা বংশবিস্তার করছে। এখন পর্যন্ত নিগম কর্তৃপক্ষকে এন্টি লাভা স্প্রে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নের জন্য ব্লিচিং পাউডার ছিটাতে দেখা যাচ্ছে না। ফগিং মেশিন দিয়ে মশা তাড়ানোর উপায় কোন উদ্যোগ নেই। দুর্গাপূজার আগে শহরের এলাকাগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য সরকার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে নিগমের কর্পুরেটরদের। শুধুমাত্র আঙ্গুল ফল ফুলে কলা গাছ হচ্ছে। ফলে মশাও তাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই মশার উপদ্রবে প্রতিবাদে অতিষ্ঠ হয়ে রাস্তায় নামলো বামেরা। বুধবার আগরতলা পুর নিগমের পূর্ব জোন অফিসের অ্যাসিস্ট্যান্ট মিউনিসিপাল কমিশনারের কক্ষ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় সিপিআইএম পূর্ব অঞ্চল কমিটি।
উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম নেতা অমল চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আগরতলা শহরে ডেইন গুলির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার কোন নাম নেই নিগমের। মানুষ মশার উপর থেকে অতিষ্ট হয়ে পড়ছে। তাই মশা নিধনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। পাশাপাশি তিনি আগরতলা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকার বনমালীপুরে স্টেট লাইট নিয়ে সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলেন। বনমালী পুর এলাকার বহু স্টেটলাইট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। যার ফলে নেশা কারবারীদের বিচরণ ভূমি তৈরি হয়েছে আগরতলা শহর। স্টেট লাইট গুলি লাগানোর দাবি করা হয়। কারণ ইতিমধ্যে এলাকায় চারটি চোরের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে জানান। তাই ইতিমধ্যে স্টেট লাইট লাগানোর দাবি করা হচ্ছে বলে জানান অমল চক্রবর্তী। পরবর্তী সময়ে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে ডেপুটেশন প্রদান করা হয় বলে জানা যায়।\