স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ নভেম্বর : রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব ও নেশা কারবারের দৌরাত্ম্য। এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম যুব সংগঠন ডিওআইএফআই এবং টি ওয়াই এফ। বুধবার ছাত্র যুব ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ বিষয়ে সরকারের দিকে বিস্তর অভিযোগ তুললো ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব। ডি.ওয়াই.এফ.আই এবং টি ওয়াই এফ পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে নবারুণ দেব জানান, দেশে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রতিদিন বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার আসার সময় দেশে বেকারত্বের সংখ্যা ছিল ৫.৪৪ শতাংশ। আর এ সরকারের সাড়ে নয় বছরের বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.০১ শতাংশ। আর ত্রিপুরা রাজ্যের বেকারত্বের হার হল ১৪.৩ শতাংশ। অর্থাৎ গোটা দেশের দ্বিগুণ বেকারত্ব ত্রিপুরা রাজ্যে সৃষ্টি হয়ে আছে। এ পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেকারত্বের ভোজা মাথা থেকে নামিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। স্কুল কলেজ গুলোর মধ্যে ব্যাপকভাবে শিক্ষক সঙ্কট সৃষ্টি হয়ে আছে। এবং প্রতি বছর একবার করে টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও সরকার টেট পরীক্ষা বন্ধ করে রেখেছে। এমনকি ২০২২ সালে এস টি জি টি পরীক্ষা গ্রহণ করে এখন পর্যন্ত ফলাফল প্রকাশ করে নি। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নয় হাসপাতাল গুলিতে পর্যন্ত চিকিৎসক ও নার্সের সংকট হয়ে আছে। কিন্তু শূন্য পদ গুলি বলে পূরণ করার ক্ষেত্রে সরকারের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ২০১৬ সালের পর এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে নার্স নিয়োগের কোন উদ্যোগ নেই সরকারের। জিবি ও আইজিএম হাসপাতালে চরম নার্সের সংকট হয়ে আছে।
কিন্তু রাজ্যে বহু বেকার যুবক যুবতী ডাক্তারি এবং নার্সের কোর্স করে বেকার বসে আছে। বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে নার্সদের পরিচালনা করা হচ্ছে। এ সরকারের মন্ত্রীরা রয়েছেন ফ্লেক্স ছাপিয়ে দৃশ্য দূষণের মধ্য দিয়ে কিভাবে নিজেদের ছবি প্রচার করবে সেদিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের এহেন ভূমিকায় বুঝা যায় তারা বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে না। তাই এর বিরুদ্ধে সকলকে রাস্তায় নামতে হবে বলে জানান ডি.ওয়াই.এফ.আই রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব। তিনি নেশার বিরুদ্ধে এই দিন উঠতে প্রকাশ করে বলেন, সিরিঞ্জ এর মাধ্যমে ড্রাগস গ্রহণ করে এইচআইভি পজেটিভ হচ্ছে বহু মানুষ। তিনি বলেন, রাজ্যে সিরিঞ্জ -এর মাধ্যমে ২,৪৭৬ জন নেশা করে। এর মধ্যে ২২১৩ জন নমুনা দিয়েছে। এর থেকে ৭২০ জন এইচ আই ভি পজিটিভ। অর্থাৎ ৩৩ শতাংশ পজিটিভ ধরা পড়ছে। নেশার করিডোরে পরিণত হয়ে গেছে ত্রিপুরা বলে জানান তিনি। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন এর নেশা কারবারির সাথে মূলত কারা জড়িত সেটা সরকার ধরতে পারছে না। তাই এই নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে সরকারের কাছে দাবি জানায় বাম সংগঠন ডিওয়াইএফআই এবং টি ওয়াই এফ। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডি.ওয়াই.এফ.আই রাজ্য সভাপতি পলাশ ভৌমিক সহ টি.ওয়াই.এফ.আই নেতৃত্ব।