স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ নভেম্বর : সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের দ্বিতীয় হাইকমান্ড দাবি করছেন রাজ্যের গ্রামগঞ্জের অবস্থা সর্বক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। এবং জব কার্ডের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা বেড়েছে বলে মন্ত্রী উচ্চস্বরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন। কিন্তু রাজ্যে জব কার্ডের সংখ্যা এবং আবেদনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া সেটা কোন গর্বের বিষয় নয়। এর দ্বারা বোঝা যায় রাজ্যের বিকাশ কতটা হয়েছে!
বোঝা যায় ডাবল ইঞ্জিন সরকারের আমলে নিরক্ষরতা এবং আর্থিক সংকট কতটা শিকরে গিয়ে পৌঁছেছে। তারই প্রমাণ মিলল বুধবার। কাঞ্চনমালা উচ্চ বুনিয়াদী বিদ্যালয়ের হাল হাকিকাত বোঝা যায় রাজ্যের গ্রাম অঞ্চলের উন্নয়ন কতটা গতিতে চলছে! স্কুলের প্রথম শ্রেণীর থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬৩ জন। এর জন্য স্কুলে নিয়োজিত রয়েছে তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত স্কুলে ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৫৫ জন। স্কুলে চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত থাকলে তিনজনই রয়েছেন ডেপুটেশন সহ বিভিন্ন দায়িত্বে।
মাত্র একজন শিক্ষক স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ৫৫ জন ছাত্র-ছাত্রীকে পাঠদান দিচ্ছেন। শিক্ষক সেবক দাস সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন তিনি একা তিনটি শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীকে একত্রিত করে পাঠদান দিচ্ছেন। এতে করে তাদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। এবং এভাবে গত এক মাস ধরে চলছে বলে জানান শিক্ষক সেবক দাস। তবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষক সংকট নাকি রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের সামঞ্জস্যতার অভাব?