স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ নভেম্বর : খোয়াইয়ে নাবালিকার বিয়ে রুখতে গিয়ে পুলিশ ও মহাদেব আশ্রমের কমিটির বাধার মুখে শিশু সুরক্ষা কমিটির লোকজন। জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে খোয়াই মহাদেববাড়ী আশ্রমে এক নাবালক ও এক নাবালিকার বিয়ে চলছিল। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের বাড়ীই তেলিয়ামুড়ায়। ছেলেটি তেলিয়ামুড়া কলেজের প্রথম সেমিস্টারের ছাত্র বলে জানা গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে খবরের ভিত্তিতে সাথে সাথেই খোয়াই থানা ও স্থানীয় মহিলা থানার পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মহকুমা প্রশাসনের এক ডেপুটি কালেক্টর ও সমাজ শিক্ষা ও সমাজ কল্যান দপ্তরের পরিচালনাধীন শিশু সুরক্ষা কমিটির লোকজনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এই বিয়ে বন্ধ করার জন্য বললে সেখান থেকে কেটে পড়ে বরপক্ষ ও কন্যাপক্ষের অভিভাবকেরা। ততক্ষণে বিয়ের অর্ধেক কাজ প্রায় শেষ হয়ে গেছে। শিশু সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা ও ডেপুটি কালেক্টর পাত্র পাত্রীর বয়সের প্রমাণপত্র সহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্র দেখতে চাইলে প্রথমে মহাদেববাড়ী আশ্রম কমিটির কর্মকর্তারা বিতর্কে জুড়িয়ে পড়েন। তারা শিশু সুরক্ষা কমিটির লোকজন ও ডেপুটি কালেক্টরের কাজে বাধা সৃষ্টি করতে থাকে।
এবং বিয়ে সম্পন্ন করতে তোড়জোর করতে শুরু করে আশ্রম কমিটির কর্মকর্তারা। একসময় পুলিশের মধ্য থেকেও কেউ কেউ আশ্রম কমিটির কর্মকর্তাদের পাশে দাঁড়িয়ে বেআইনী বিয়ের পক্ষে ওকালতি করতে থাকে। পুলিশের একাংশ ও আশ্রম কমিটির কর্মকর্তাদের বাধার মুখে একসময় পালিয়ে আসার উপক্রম হয় প্রশাসনের ডেপুটি কালেক্টর ও শিশু সুরক্ষা কমিটির লোকজনের বলে সূত্রে খবর। যদিও বিয়ের বাকী কাজ আর হয় নি। পুলিশ নাবালক পাত্র ও নাবালিকা পাত্রীকে থানায় তুলে এনেছে বলে জানা গেছে।