স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ নভেম্বর : নিরীহ যুবককে মারধর করে গ্রেফতার হলেন রাজধানীর হোটেল এক্সিকিউটিভ ইন-এর মালিক সুমন ভট্টাচার্য। শেষে ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে পুলিশ থানায় নিয়ে গেল অভিযুক্ত সুমন ভট্টাচার্যকে। জানা যায় এইদিন রাজধানীর পোস্ট অফিস চৌমুহনী এলাকায় এক নিরীহ অসহায় যুবক প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে যায়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন হোটেল এক্সিকিউটিভ ইন-এর মালিক সুমন ভট্টাচার্য।
অসহায় ঐ যুবক যখন বোতল কুড়াচ্ছিল, ঠিক তখন হোটেল এক্সিকিউটিভ ইন-এর মালিক সুমন ভট্টাচার্য সেই নিরীহ যুবককে আটক করে মারধর শুরু করেন। সেই নিরীহ যুবক নিজেও বুঝতে পারছিল না কেন তাকে অমানবিক ভাবে মারধর করা হচ্ছে। নিরীহ এই যুবক বারে বারে সুমন ভট্টাচার্য-র পায়ে ধরে বলেছে আমাকে ছেড়ে দিন, আমি কিছু করি নি, আমি রাস্তার পাশ থেকে প্লাস্টিকের বোতল কুড়িয়ে বিক্রয় করি। কিন্তু সুমন ভট্টাচার্য এই অসহায় যুবকের কোন কথাই শুনতে চাইছেন না। কখনো কখনো সুমন ভট্টাচার্য এতটাই উন্মত্ত হয়ে যাচ্ছেন যে এই নিরীহ যুবকের গলা টিপে ধরছেন। প্রায় যায় যায় অবস্থা এই যুবক বাচার জন্য ছটফট করছিল।
কিন্তু হোটেল এক্সিকিউটিভ ইন-এর মালিক সুমন ভট্টাচার্য ঐ যুবককে ক্রমাগত মারধর করে যাচ্ছেন। পথ চলতি বহু মানুষ এই ঘটনা দেখে দায়িয়ে পড়েছেন। সুমন ভট্টাচার্য রীতি মতো নেশাখোরের মতো আচরণ করছিলেন। তাই কেউ বাধা দেওয়ার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে আসছিল না। অবশেষে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা ঘটনা ক্যামেরা বন্ধি করে সুমন ভট্টাচার্য-র এই ধরনের অমানবিক আচরণের প্রতিবাদ জানায়। কিন্তু সুমন ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে যান। সাংবাদিকদের প্রচ্ছন্ন হুমকি দিতে থাকেন। এখন দেখার হোটেল এক্সিকিউটিভ ইন-এর মালিক সুমন ভট্টাচার্য-র টাকার কাছে পুলিশ মাথা নত করে, নাকি পুলিশ তার মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিরীহ এই যুবককে ন্যায় বিচার পাইয়ে দেয়। যাই হোক সাংবাদিকদের চাপে পড়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগে সুমন বাবুকে গ্রেপ্তার করেছেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা এদিন দাবি তুলেছে অভিযুক্ত সুমন ভট্টাচার্যের যাতে কঠোর শাস্তি হয়। যদিও যুবকের প্রানহানি ঘটত, তাহলে এর দায়ভার কে নিতো?