স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ নভেম্বর : ঘরে ব্যাপক আয়োজন করে লক্ষ্মীর আরাধনার পর সেই লক্ষ্মী ঠাঁই হচ্ছে রাস্তার ড্রেনের পাশে কিংবা কোন বটগাছের নিচে। যা দেখে সনাতন ধর্মের উপর অনেকে আস্হা হারাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সমাজের সনাতন ধর্মের মুষ্টিমেয় মানুষ। কারণ যে ভক্তরা বিশেষ আয়োজন করে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা করে সংসারের মঙ্গল কামনা করেন তারাই প্রতিমা পুরনো হলে এ ধরনের অমানবিক কার্যকলাপ সংঘটিত করছে।
শুধু লক্ষী নয়, বিশ্বকর্মা, কার্তিক, সরস্বতী সহ বিভিন্ন প্রতিমা দিনের পর দিন রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে কখনো বস্ত্রহীন, আবার কখনো ভেঙে চড়ে বিকৃত আকার ধারণ করছে। আর এদিকে সবার আগে নজর যাচ্ছে কচিকাঁচাদের। তারা খেলার মাঠে খেলতে এসে কিংবা স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় এগুলো প্রত্যক্ষ করছে। আর এতে নতুন প্রজন্মের কাছে কি বার্তা যাচ্ছে সেটা একবারের জন্য ভাবছে না শিক্ষিত সমাজ।
এবার সেই প্রতিমা বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলে নিয়ে দশমীঘাটে হাওড়া নদীতে নিরঞ্জন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা কেন্দ্রের যুবকরা বুধবার স্থানীয় কর্পোরেটর অভিজিৎ মল্লিকের নেতৃত্বে রাস্তায় পাশে যত্রতত্র পড়ে থাকা প্রতিমাগুলি দশমীঘাটে নিয়ে নিরঞ্জন করেন। এ বিষয়ে কর্পোরেটর জানান সনাতন ধর্মের মানুষ পরিত্যক্ত জায়গার মধ্যে এভাবে প্রতিমা ফেলে রাখাটা মর্যাদা ক্ষুণ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। তাই প্রতিমা নিরঞ্জন করে সমাজের কাছে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।