Sunday, September 8, 2024
বাড়িরাজ্যপেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ সদর এনফোর্সমেন্ট টিম, মূল্য নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র নিল...

পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ সদর এনফোর্সমেন্ট টিম, মূল্য নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র নিল চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ নভেম্বর : পেঁয়াজের ঝাঁঝে নয় অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্তের চোখ দিয়ে ঝরছে জল। গোটা দেশের সাথে রাজ্যেও পেঁয়াজের মূল্য ৭০ টাকা। মূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে সদর মহকুমা প্রশাসনের এনফোর্সমেন্ট টিম। খবর প্রকাশের পর বাজারে অভিযান চালালেও পেঁয়াজের মূল্য কত হবে সেটা পাইকারি ব্যবসায়ীদের নির্ধারণ করে দিতে পারছে না এনফোর্সমেন্ট টিম। শুধু অভিযান চালিয়ে দায়িত্ব শেষ করে দিচ্ছে এনফোর্সমেন্টে টিম।

একাংশ অসাধু ব্যবসায়ীদের কালোবাজারি চূড়ান্ত আকার ধারণ করায় খুচরো ব্যবসায়ীরা পর্যন্ত বিপাকে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সদর মহাকুমা এনফোর্সমেন্ট টিমের নেতৃত্বে থাকা ডিসিএম রঞ্জিত কুমার দাস অভিযানের পর জানান, এদিন মহারাজগঞ্জ বাজারে অভিযান চালাতে গিয়ে বেশ কয়েকটি হোলসেল দোকানে যায় এন ফোর্সমেন্ট টিম। এবং এনফোর্সমেন্ট টিম প্রত্যক্ষ করে ফাস্ট হোলসেলার এবং সেকেন্ড হোলসেলার এর মধ্যে পেঁয়াজের মূল্যের রাত দিন ফারাক। মাত্র ২৫ মিটারের মধ্যেই দোকানগুলিতে ভালো পেঁয়াজ পার কুইন্টালের মূল্য ৫,৪০০ টাকা, আবার কোথাও ৫৫০০ টাকা কুইন্টাল। তারপর খুচরো দোকান গলিতে অভিযান চালিয়ে জানা যায় তারা পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৬৫ টাকা কিলো। কিন্তু ভালো নাসিকের পেঁয়াজের মূল্য তার থেকে অনেকটা বেশি। খুচরো ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসা করা হয় কার কাছ থেকে পেঁয়াজ তারা পাইকারি ভাবে ক্রয় করেছে, আশ্চর্যের বিষয় কোন মেমো তারা দেখাতে পারেনি। তারপর এ বিষয়টি সদর মহকুমা শাসকের সাথে আলোচনা করে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন বলে জানান তিনি। ডি সি এম আরো জানান পেঁয়াজের মূল্য ৬০ টাকা কম প্রতি কিলো হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এদিন অভিযানের পর সুনির্দিষ্টভাবে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি এন ফোর্সমেন্ট টিম। এদিকে সাধারণ ক্রেতারদের নাভিশ্বাস উঠার পর এবার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কেন্দ্রকে। কারণ মূল্য সারা দেশেই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে।

তার সুযোগ নিয়ে পেঁয়াজ সেঞ্চুরি করতে চাইছে। যার লোকসভা নির্বাচনে আগে একটা বড় ফেক্টর হতে পারে। ন্যাশনাল এগ্রিকালচার কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া বা নাফেদ, রাজ্যগুলির খাদ্যদপ্তরের সঙ্গে যুগ্মভাবে পিঁয়াজ বিক্রি করবে। তাও মাত্র ২৫ টাকা কিলো দরে। তবে একজন ক্রেতা একসঙ্গে ২ কেজির বেশি পিঁয়াজ কিনতে পারবেন না। কালোবাজারি রুখতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, দিল্লি, জয়পুর, বিকানের, কোটা, চণ্ডিগড়, জলন্ধর, ভোপাল, রায়পুর ও হায়দরাবাদের মতো মোট ১২টি শহরে অল্প দামে বিক্রি হবে পিঁয়াজ। ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু শহরে পিঁয়াজ বিক্রি করবে কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে নাফেদের অন্যতম কর্তা সৌরদীপ মণ্ডল জানিয়েছেন, পিঁয়াজের মূল্য়বৃদ্ধি থেকে আমজনতাকে কিছুটা রেহাই দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তাই পুরনো স্টক থেকে তাঁদের কাছে পিঁয়াজ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য