স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ অক্টোবর : প্রান্তিক পাহাড়ি রাজ্য ত্রিপুরার মানুষ সিক্ষায় দীক্ষায় আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে। মানুষ উন্নত হলেও মানুষের মনুষ্যত্ব বোধ হ্রাস পেয়েছে। যার ফলে মাটির লক্ষ্মী ঘরে ঘরে পূজিত হয় আর ঘরের লক্ষ্মী নির্যাতন, ধর্ষণ ও গনধর্ষণের শিকার হয়। লক্ষ্মী পূজার রাতে এমনই একটি ঘটনা ঘটে মুঙ্গিয়াকামী থানা এলাকায়।
জানা যায় থানা এলাকার এক নাবালিকা তার অপর এক নাবালিকা বান্ধবি ও দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে লক্ষ্মী পূজার প্রসাদ খেতে বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ি থেকে কিছুটা দূর যাওয়ার পর ক্ষিতীশ দেববর্মা নামে এক যুবক ভয়ভীতি দেখিয়ে নাবালিকার সাথে থাকা অপর নাবালিকা সহ দুই বন্ধুকে তারিয়ে দেয়। তারপর ক্ষিতীশ দেববর্মা ও তার সাথে থাকা অজয় দেববর্মা এবং সুবিকাস দেববর্মা মিলে নাবালিকাকে জোর পূর্ব একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। তিন অভিযুক্ত মিলে রাতভর নাবালিকাকে গন ধর্ষণ করে। রবিবার সকালে নাবালিকা বাড়িতে ফিরে গিয়ে পরিবারের লোকজনদের ঘটনার বিষয়ে জানায়।
তারপর নাবালিকার পরিবারের লোকজন নাবালিকাকে নিয়ে মুঙ্গিয়াকামি থানায় ছুটে যায়। এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তেলিয়ামুড়া মহকুমার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর পুলিশ অভিযুক্ত ক্ষিতীশ দেববর্মা, অজয় দেববর্মা ও সুবিকাস দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। তাদের বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদেরকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে। এইদিকে থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর পুলিশ নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে দাক্তারি পরীক্ষা করায়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুলিশ ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুঙ্গিয়াকামী থানা এলাকায় চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। দাবি উঠেছে অভিযুক্তর কঠোর শাস্তি প্রদানের।