স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ জানুয়ারি : মানিক বাবুরা রাজ্যে এখনও অপপ্রচার করে চলেছে।বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার এখনো মানসিকতার পরিবর্তন করেননি। নিজে গল্প বানিয়ে নিজেই সেটা বিশ্বাস করেন এটাই বিরোধী দলনেতার স্বভাব। জন শিক্ষা সমিতির নামে চিরাচরিত ভাবে মিথ্যা কথা বলে আসেছে কমিউনিস্টরা। মানুষ জানে রাজ্যে কোনদিন সিপিআইএম সোজা রাস্তায় আসতে পারে নি। রাজ্যে কুস্তি আর দিল্লিতে দোস্তি করে দীর্ঘ সময় রাজ্যে রাজত্ব করেছে।
২০১৮ সালে মানুষ ভোট দিয়ে মানিক বাবুদের সরিয়ে দিয়েছে। তারা মানুষ থেকে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন অনুভূতি শূন্য হয়ে আন্দোলনে নামার কথা বলছেন। কিন্তু রাজ্যের মানুষের স্মৃতিশক্তি এত দুর্বল ভাবলে ভুল হবে। মানুষ জানে সিপিএমের আমলে রাজ্যে কি কি হয়েছে। মঙ্গলবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ের সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা বলেন প্রদেশ বিজেপি সহ-সভাপতি অশোক সিনহা। সিপিআইএম রাজ্যে উগ্রপন্থীর সৃষ্টি করেছে। ১৯৭৮ সালে সিপিআইএম রাজ্যে আসার পর ১৯৮০ সালে রাজ্যে ডাঙ্গা হয়। এগুলি আগে ছিল না। সিপিআইএম আসার পর রাজ্যে নির্বাচন মিলিটারি দিয়ে করতে হয়। পূর্বে পুলিশ দিয়ে রাজ্যে নির্বাচন সংঘটিত হতো। এমনকি সিপিআইএম -এর নেতা ললিতা দেববর্মা রাজ্যে উগ্রপন্থী দলের সভাপতি ছিলেন। তিনি পরবর্তী সময় আত্ম সমর্পন করে বলেন সিপিআইএমকে ক্ষমতায় আনার জন্য তিনি উগ্রপন্থীতে যোগদান করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি আবার ব্যাংক ডাকাতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
তাদের আমলে উগ্রপন্থী দ্বারা সিআরপিএফ জওয়ান নিহত, উপজাতি কিশোর অপহৃত, মহিলারা উগ্রপন্থীর গুলিতে নিহত, স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর মতো ঘটনা ঘটেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছিল তাদের সময় রাজ্যের সচিবালয়ের ১০ জন কর্মী নাকি উগ্রপন্থী সাথে জড়িত। পরবর্তী সময় আর তদন্ত করেনি মানিকবাবুরা। আর এখন সেই মানিকবাবুরই বলছে রাজ্যে নাকি শ্মশানের শান্তি বিরাজ করছে। আসলে সেই দিনগুলি রাজ্যের মানুষ ভুলে যায়নি। রাজ্যের মানুষের স্মৃতিশক্তি এতটা দুর্বল ভাবলে ভুল হবে বলে জানান তিনি। এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ঝর্না দাস বৌদ্য বলেছিলেন নির্বাচনের পর মন্ত্রিসভার আগেই নাকি কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব হবে। এমনটাই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে রাজ্যের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করে দিয়ে বিজিপি’কে প্রতিষ্ঠা করেছে। মানুষ জানে সিপিআইএম -এর নিতিতে হিংসা ছাড়া আর কিছু নয়। বর্তমানে তারা আরো বলছে রাজ্যে নাকি ওমিক্রন পরীক্ষা হয় না। তারা জানে না করোনা চিকিৎসা সমস্ত প্রজাতির ক্ষেত্রেই একই রকম। সুতরাং মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করতেই ধরনের মন্তব্য করে চলেছে বলে জানান অশোক সিনহা। তিনি আরো বলেন সিপিআইএম -এর এ ধরনের মানসিকতা রাজ্যের মানুষ অবগত রয়েছে। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা এইগুলি অপপ্রচার করছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। রাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রতিশ্রুতির ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। বরং বহু কাজ প্রতিশ্রুতি বাইরেও হয়েছে। রাজ্যের মানুষ স্বচ্ছ প্রশাসন, কর্মসংস্কৃতি পেয়েছে। এখন আন্দোলন করতে হয়না রাজ্যের মানুষকে। নিয়ত এবং নির্দেশ বাইরে গিয়ে কাজ করছে না সরকার। রাজ্য আত্মনির্ভরের দিকে এগোচ্ছে। সেই লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে। ২০১৫-১৬ সাল থেকে অনেকগুণ আয় বেড়েছে রাজ্যে। সমাজ পরিবর্তন হয়েছে। যুবকরা স্বনির্ভর হচ্ছে। এমনটাই বললেন প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র নবেন্দু ভট্টাচার্য।