স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ অক্টোবর : বর্তমানে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে দেশের প্রায় ১০ কোটি অধিক পরিবহন শ্রমিকের জীবিকা বিপন্ন, মজুরি হ্রাস পেয়েছে এবং পুলিশের নির্যাতনের শিকার। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই পরিবহন শ্রমিকদের মজুরি জাতীয় স্তরে এখন পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। গোটা দেশের মতো ত্রিপুরা রাজ্য পাল্লা দিয়ে চলছে এক প্রকার ভাবে অরাজকতা।
কারণ বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিন লক্ষ পরিবহন শ্রমিকের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ হাজার শ্রমিক রাজ্যে বেকার হয়ে গেছে। যার মূল কারণ হলো মানুষের আয় উপার্জন নেই এবং গাড়ি রাস্তায় নামানো বন্ধ করে দিয়েছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠার জন্য অল ইন্ডিয়া রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার ফেডারেশনের সর্বভারতীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে শনিবার পরিবহন দপ্তরে ডেপুটেশন প্রদান করা হয় বলে জানান সি আই টি ইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে। এইদিন মেলার মাঠ অফিস লেন স্থিত সিটু অফিসের সামনে থেকে অল ইন্ডিয়া রোড ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার ফেডারেশনের কর্মী সমর্থকরা এক মিছিল সংগঠিত করে। মিছিলটি রাজধানীর বিভিন্ন রাস্তা পরিক্রমা করে পরিবহন দপ্তরের অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখান থেকে এক প্রতিনিধি দল পরিবহন কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে কমিশনারের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করে। সি আই টি ইউ -র রাজ্য সভাপতি মানিক দে জানান সর্বভারতীয় কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে এইদিন পরিবহন কমিশনারের নিকট ডেপুটেশান প্রদান করা হয়েছে।
আয়োজিত কর্মসূচি থেকে মানিক দে আরও অভিযোগ তুলে বলেন, তিনি আরো বলেন মানুষের আয় উপার্জন কমে গেলেও, সরকার ব্যাপক হারে ট্যাক্স বৃদ্ধি করে চলেছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যেভাবে শ্রমিকদের উপর জরিমানা করা হচ্ছে তাতে বুঝা যায় সরকারের আর্থিক অভাব রয়েছে। কিন্তু এর জন্য পরিবহন শ্রমিকদের উপর এভাবে বোঝা নামিয়ে আনা আর কতদিন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তিনি। আরো অভিযোগ তুলে বলেন বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এই সরকার একটি টিআরটিসি বাস এবং আরবান বাস ক্রয় করেনি। সরকার এভাবে গণপরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে দায় এড়াতে পারে না বলে জানান তিনি। আয়োজিত কর্মসূচিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সি আই টি ইউ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শংকর প্রসাদ দত্ত সহ অন্যান্যরা।