Thursday, October 10, 2024
বাড়িরাজ্যবিদ্যুতের দাবিতে দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘন্টা পথ অবরোধ, কাল ঘাম ছুটল প্রশাসনের

বিদ্যুতের দাবিতে দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘন্টা পথ অবরোধ, কাল ঘাম ছুটল প্রশাসনের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ অক্টোবর : মন্ত্রী টিংকু রায়ের বিধানসভা কেন্দ্রে বিদ্যুৎ সংস্কারের দাবিতে দীর্ঘ সাড়ে সাত ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করল আমজনতা। ঘটনা চিনি বাগানের দারলং পাড়ায়। অভিযোগ সাত দিন ধরে এলাকা বিদ্যুৎহীন। এবং অভিযোগটি উঠেছে কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা সাই কম্পিউটার লিমিটেডের বিরুদ্ধে।

 বেসরকারি বিদ্যুৎ পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থা সাই কম্পিউটারের বদান্যতার কারনে প্রায় সাড়ে সাত ঘন্টা ধরে সড়ক অবরোধের নাজেহাল হতে হয়েছে হাজারের বেশী যান চালক ও সাথে কয়েক হাজার পথচারী। গত ৭ দিন ধরে বিদ্যুতহীন রয়েছে মন্ত্রী টিংকু রায়ের বিধানসভা কেন্দ্রের ৫২ চন্ডীপুরের ঊনকোটি এডিসি ভিলেজের ডার্লং পাড়ার। এলাকায় প্রায় ৩৫০ পরিবারের বসবাস। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। ফোনে এবং সশরীরে কৈলাহরের সাই কম্পিউটার সংস্থার কার্যালয়ে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ জানানোর পর আশ্বাস ছাড়া কিছুই মিলে নি। প্রতিদিন গ্রাম থেকে নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করে শহরের অফিসে অভিযোগ জানায় দারলং পাড়ার বাসিন্দারা। এরই মধ্যে চলছে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা। তাই অতিষ্ঠ হয়ে কৈলাসহর-ধর্মনগরের মূল সড়কের চিনি বাগান এলাকায় অবরোধে বসে দারলং পাড়ার বাসিন্দারা। কৈলাসহর ও ধর্মনগরের মূল সড়ক মূলত এখন ২০৮ -এ জাতীয় সড়ক, যা আসামের কুকি তল থেকে কৈলাসহর খোয়াই হয়ে আগরতলা পর্যন্ত একপ্রকার লাইফ লাইন। দীর্ঘ এই অবরোধে উভয় দিকে আটকে পড়ে হাজারের উপর যানবাহন। ছুটে আসে পুলিশ প্রশাসন।

 সমস্যা সমাধানে প্রাসাসনের ব্যর্থতার কারনে একসময় উত্তেজিত যাত্রী ও যানবাহন চালকরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সহ প্রশাসনের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়ে। সড়ক অবরোধ মুক্ত করতে আইন হাতে তোলে নিতে সচেষ্ট হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। অবশেষে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার আশ্বাস পেয়ে সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়। তবে‌ অবরোধকারীদের পক্ষ থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে জানানো হয়, ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি বিদ্যুৎ পরিষেবা না পাওয়া যায়, তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে হুশিয়ারি দেয় গ্রামবাসী। এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ সংস্থার বিরুদ্ধে অহরহ অভিযোগ গোটা মহকুমা। গত কয়েক মাস আগে দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ এবং এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী টিংকু রায় সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ সংস্থাকে পরিষেবা সঠিকভাবে দেওয়ার জন্য সতর্ক করেছেন। কিন্তু মানুষের দুর্ভোগের লাগাম টানতে পারে নি। সুতরাং এটা যে দুই মন্ত্রীর লোক দেখানো বৈঠক ছিল সেটা বারবারই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যার কারণে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এর জবাব নেই দপ্তরের মন্ত্রী এবং এলাকার বিধায়ক তথা মন্ত্রী কাছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য