স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জানুয়ারি : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুরকে ভারতরত্ন পুরস্কার এ ভূষিত করতে হবে, ১৯৮০ এবং ১৯৯৭ সালে যে গণহত্যা রাজ্য হয়েছিল তার সুষ্ঠু তদন্ত করা সহ সাত দফা দাবিতে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে স্মারকলিপি পেশ করবেন নতুন ভাবে আত্মপ্রকাশ হওয়া বিশ্ব বাঙালি জনজাগরণ মঞ্চ। রবিবার আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনের আত্ম প্রকাশের ঘোষণা করা হয়।
এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য হলো বাঙালিদের অস্তিত্ব রক্ষা করা। সংগঠনের অধিষ্ঠাতা নির্মল রুদ্রপাল জানান ত্রিপুরা রাজ্যের বাঙালিরা বাংলাদেশি নয়, বিদেশিও নয়। বাঙালিরা এ দেশের মানুষ, অথাৎ ভারতবাসী। কিন্তু যারা বাঙালিদের বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন কথা বলে আখ্যায়িত করছে তাদের মন্তব্যকে তীব্র ভাষায় নিন্দা জানানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। কারণ যারা এধরনের মন্তব্য করছে তারা দেশের এবং রাজ্যের ইতিহাস জানে না। রাজা হলেই ভূমিপুত্র হওয়া যায় না। প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন যে ধরনের মন্তব্য করছেন তার তীব্র বিরোধিতা জানান তিনি। আরো বলেন তিনি রাজ্যের বাঙালিদের বাংলাদেশি বলছেন। কিন্তু উনার কাছে কোনো রকম তথ্য আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এবং বলেন পূর্বে বর্তমান বাংলাদেশ থেকে মানিক্য রাজারা কর পেয়েছে। আর যেহেতু মানিক্য রাজারা কর পেয়েছেন, সেহেতু প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মনও বাংলাদেশি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। দিল্লি গিয়ে প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন ও পাতাল কন্যা বলছেন ত্রিপুরায় নাকি তারা দীর্ঘ ৫ হাজার বছর ধরে আছেন। তাহলে প্রশ্ন কোন রাজাকে পরাজয় করে মানিক্য রাজারা ক্ষমতায় এসেছে। আসলে মানিক্য রাজারা উপজাতিদের জন্য কিছুই করেনি, শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে রাজপ্রাসাদ উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ বানিয়েছে। আর হাওয়া খাওয়ার জন্য নীরমহল বানিয়েছে। ত্রিপুরার ভূমিপুত্র বাঙালি। এর প্রমাণ হল ঊনকোটি, পিলাক, ছবিমুড়া। আর এইগুলো হল বাঙালিদের নিদর্শন। বাঙালিরা এইগুলি বানিয়েছে। সংগঠনের অধিষ্ঠাতা নির্মল রুদ্রপাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সম্পাদক ও সভাপতি।