স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ সেপ্টেম্বর : আগরতলা শহরে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। মর্জি মাফিক কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি করে ক্রেতাসাধারণের পকেট কেটে চলেছে। আর সদর মহকুমা প্রশাসনের এনফোর্সমেন্ট টিম নিত্যদিন জাঁকজমকভাবে বাজার অভিযানে গিয়ে ফটোসেশন করছেন। এখন পর্যন্ত কোন ধরনের কড়া পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়নি বাজারের অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে।
সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনে অসাধু ব্যবসায়ীদের সাথে কিছুটা চোখ রাঙিয়ে কথা বলে কর্মযজ্ঞ করছে এই আধিকারিকরা। এনফোর্সমেন্ট টিমে রয়েছেন ডিসিএম, চিফ ইন্সপেক্টর ফুড থেকে শুরু করে বহু আধিকারিক। তারা বাজার গুলিতে নিত্যদিন অভিযান চালিয়ে দ্রব্যমূল্য কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আনতে পারছে না বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। তারা যখন বাজারে প্রবেশ করেন তখন বাজারে আলু, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে কাঁচামালিক মূল্য ১০ থেকে ১৫ টাকা হ্রাস পেয়ে যায়। একই চিত্র দেখা গেল মঙ্গলবার।
এদিন লেইক চৌমুহনী বাজারে অভিযান চালিয়ে তারা জানান আলোর মূল্য কুড়ি টাকা থেকে ২২ টাকায় রয়েছে। পেঁয়াজের মূল্য ৪০ টাকা রয়েছে। কিন্তু বাজারে আলুর মূল্য ২৫-৩০ টাকা এবং পেঁয়াজের মূল্য ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা। আর এই মূল্য মহারাজগঞ্জ বাজারেও লক্ষ্য করা গেছে মঙ্গলবার। ক্রেতাসাধারণ যদি দর কষাকষি করে তাহলে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা দুর্ব্যবহার করে চলেছে। একই অবস্থা চালের ক্ষেত্রে। প্রতি কিলো চালের মূল্য ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়িছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার লেক চৌমুনী বাজারে পাইকারি মূল্যের পাকা মেমু দেখতে চাইলে দেখাতে পারেনি ব্যবসায়ীরা। সুতরাং বাজারে আকাশচুম্বি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির রেশ টানতে ব্যর্থ প্রশাসন। এদিন লেইক চৌমহনি বাজারে যখন এনফোর্সমেন্ট টিম দাম কষাকষি করছিলেন তখন লক্ষ্য করা যায় পেঁয়াজের মূল্য বলছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং আলুর মূল্য কুড়ি টাকা থেকে ২২ টাকা। কিন্তু জানা যায় পেঁয়াজ পাইকারি মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কিলোতে ক্রয় করে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
এবং তাদের মদত দিচ্ছে বাজার কমিটির কতিপয় সদস্যরা। যার কারণে প্রশাসনিক আধিকারিকরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে হরির নাম সংকীর্তন করে ফিরে আসে। কাজের কাজ কিছুই করতে পারছেন না তারা। নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। কারণ সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সরকারি কর্মচারীদের আয় বৃদ্ধি পেলেও নিম্নবিত্ত মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়নি। সুতরাং প্রশাসনের হাস্যকর অভিযান মানুষের স্বার্থে কাজে আসছে না। ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে যদি কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে তাহলেই বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে না। যাইহোক এদিন বাজারে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ উদ্ধার করেছে এন ফোর্সমেন্ট টিম।